হুইল চেয়ারে শান্তি শওকত চাচার। পাশে দাঁড়ালো রক্ত বন্ধন পরিবার।

আলহামদুলিল্লাহ।
অসহায় রোগীর প্রয়োজনে আরও একবার পাশে দাঁড়ালো রক্ত বন্ধন – Rokto Bondhon পরিবার।
নাটোর লালপুরের রোগী শওকত আলী চাচা। ৪ বার স্ট্রোক করে ব্রেনের পানি এবং মেরুদন্ডের স্পাইনাল কট শুকিয়ে গেছে। হাঁটতে পারে না, পারে না ঠিকভাবে কথা পর্যন্ত বলতে। প্রস্রাব ও পায়খানার অনুভূতি নেই। যে কোন স্থানে প্রস্রাব বা পায়খানা করে দেয়৷
রোগীর এমন অবস্থা দেখে ৬ ভাই তাকে দূর করে দেয়৷ তার এক বোনের কাছে ঠাঁই হয় শওকত চাচার। বোন এবং ভাগনি দেখাশোনা করেন তার। কিছুদিন আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে নাটোর থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয় শওকত চাচাকে। এমন অবস্থায় রক্ত বন্ধন পরিবারের স্বেচ্ছাসেবী প্রেমা আপু রোগীকে দেখতে পায় এবং রোগীর বিস্তারিত তথ্য জেনে আমাদের জানায়।

রোগীর বাসায় উপস্থিত হয়ে রোগীর বিস্তারিত তথ্য নেই।
এরপর গ্রুপে পোস্ট করা হলে কতিপয় ভাই ও বোন সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন৷ এই পোস্টটি পলাশ ভাইয়ের নজরে আসলে তিনি নিজের টাইমলাইনে শেয়ার করলে গতকাল তার একজন বান্ধবী সুমাইয়া ইসলাম আপু জানায় তার দাদীর জন্য একটা হুইল চেয়ার কেনা হয়েছিল। কেনার ১০-১২ দিন পরেই তার দাদী মারা যান৷ তিনি হুইল চেয়ারটি দান করতে চান। হুইল চেয়ারটি একদন নতুনের মত থাকায় আমরা তা গ্রহণ করে আজকেই রোগীকে দেওয়ার লক্ষ্যে লালপুরে রোগীর বাসার উদ্দ্যেশ্যে রওনা দেই। এবং হুইল চেয়ারটি শওকত চাচার কাছে পৌঁছে দেই।

জানিনা শওকত চাচা কবে সুস্থ্য হবেন। তবে তাকে একটু ভালো রাখার জন্য আমাদের এই আহ্বানে আপনাদের সাড়া ও সার্বিক সহযোগিতা আমাদের আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ করেছে আপনাদের প্রতি।

ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই তাদের প্রতি যাদের প্রচেষ্টা ও সার্বিক সহযোগিতায় আমাদের এই ইভেন্টটিও সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারলাম।

রক্ত বন্ধন পরিবার সততার সাথে কাজ করার মাধ্যমে আপনাদের আমানত যেন সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারে এই দোয়া করবেন।

– ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *