সচেতনতায় বাঁচতে পারে মা ও সন্তানের জীবন

আলহামদুলিল্লাহ।

#সচেতনতায় আরও একটি সফলতা

#আরও একটি ওয়াদার পরিপূর্ণতা।।

বাচ্চাটির বাবার নাম নাহিদ । নিয়মিত এবি+ রক্তদাতা। কিছুদিন আগে ইমার্জেন্সি রোগীর প্রয়োজনে এবি+ রক্তের প্রয়োজনে হওয়ায় ভাইকে নক দিয়ে রক্ত দেওয়ার আহ্বান জানাই। নাহিদ ভাই রক্ত দিতে চলে আসে এবং রক্তদান করার সময় বলেন ‘ ভাই আপনার ভাবি কিন্তু প্রেগন্যান্ট। কিছুদিন পরেই রক্ত লাগবে।’ আমি প্রস্তুত ছিলাম। রক্ত দিয়ে এক্সচেঞ্জ করে নিতাম।
আমার স্ত্রীর প্রয়োজনে O+ রক্ত ম্যানেজ করে দিয়েন।

কথা দিয়েছিলাম ম্যানেজ করে দিব ইনশা আল্লাহ।

সহজে কাউকে কোন কথা দেওয়া হয় না। আর কাউকে কোন কথা দিলে সেটা পূরণ করার জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে পূরণ করতে চেষ্টা করি এবং পূরণ করে তবেই ক্ষান্ত হই। আলহামদুলিল্লাহ কথা দিয়েছিলাম আবারও পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি।

আলহামদুলিল্লাহ গতকাল প্রয়োজনের সময় O+ রক্ত ম্যানেজ করে দিতে পেরেছি।

বর্তমানে পেটে বাচ্চা মারা গেছে বা প্রসবের পরে বাচ্চা মারা গেছে এমন বিষয় খুব বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত পরশু রাত থেকে পেটে বাচ্চা নড়াচড়া করছিল না। কিছুটা সংশয় কাজ করছিল রোগীর পরিবারের। আলহামদুলিল্লাহ খারাপ কিছুই হয় নি।

বাচ্চা ও মা ভালো আছেন। সচেতন হোন, সচেতনতা বাড়ান। নিয়মিত পরীক্ষা, রক্তদান এবং ৪ মাস আগে থেকে রক্তদাতা খুঁজে রাখার মাধ্যমে মা ও সন্তানের সুস্থতা ও বেঁচে থাকা নিশ্চিত করুন। গর্ভবতী মায়ের রক্তের প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবীদের স্মরণ না করে আত্মীয় স্বজনদের স্মরণ করুন। রক্তদানে সক্ষম এমন আত্মীয়, পরিচিত বা বন্ধু বন্ধবদের রক্তদানের আহ্বাব জানিয়ে প্রস্তুত করে রাখুন। শুধু প্রসবেরই রক্ত লাগবে এমনটা নয়। গর্ভধারণের ৫ থেকে ৯ মাসের মধ্যে যে কোন সময় গর্ভবতী মায়ের রক্তের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ এ সময়ে গর্ভবতী মহিলার রক্ত ক্ষরণ,রক্ত স্বল্পতাসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে। যার প্রভাবে সন্তান অক্সিজেনের অভাবে জীবন পর্যন্ত চলে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

নিয়মিত গর্ভবতী মায়ের চেক আপ করানোর চেষ্টা করুন।  মায়ের স্বাস্থ্য কেমন আছে, পেটে পানির পরিমাণ, সন্তানের অবস্থান কেমন আছে, সন্তানের ওজন ঠিক আছে কি না এবং সন্তানের থ্যালাসেমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না তা নিশ্চিত হতে নিয়মিত চেক আপ ভীষণ জরুরী। চেক আপের মাধ্যমে সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে এটা নির্ধারণ করা জরুরী নয়।

আপনার আমার সচেতনতাই পারে মা এবং সন্তানের সুস্থতা নিশ্চিত করতে এবং প্রাণের নিশ্চয়তা দিতে।

–Rumel Rahman

1 thought on “সচেতনতায় বাঁচতে পারে মা ও সন্তানের জীবন”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *