প্রায়ই মাথাব্যথা করছে? এটি ব্রেন টিউমারের লক্ষণ নয় তো! বা আপনি ব্রেন টিউমারের আক্রান্ত নয় তো!! ব্রেন টিউমার মানুষের জীবননাশের কারণ হতে পারে। আর সেজন্যই ব্রেন টিউমারের নাম শুনলেই ভয় পাই আমরা সবাই। ব্রেন টিউমারের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের ভিতর ক্যান্সার বা নন ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ঘটে। সেজন্য টিউমার শুধু মস্তিষ্কেই হতে পারে আবার শরীরের অন্য অংশে তৈরি হয়ে সেটি মস্তিষ্কে ছড়াতে পারে। ব্রেন টিউমারের বেশ কয়েকটি ধরণ রয়েছে। কত দ্রুত টিউমারটি বেড়ে উঠছে, মস্তিষ্কের বা দেহের কোন অংশে হয়েছে, স্নায়ু কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, টিউমারটি চিকিৎসাযোগ্য কি না সেসব নির্ণয়ের পরে ডাক্তার রোগীর চিকিৎসা করে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রোগটি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে নিরাময়যোগ্য। অন্যথায় রোগীর প্রাণ পর্যন্ত কেড়ে নিতে পারে। এবং প্রাণ কেড়ে নেওয়ার অনেক নজিরও দেখা যায়। তাই সামান্য কিছু লক্ষণ দেখলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এজন্য আমাদের জেনে রাখা ভালো ব্রেন টিউমারের উপসর্গ কী কী? যদিও ব্রেন টিউমারের লক্ষণ কেমন হবে বিষয়টি রোগীভেদে বদলে যায় বা আলাদা আলাদা হতে পারে । এছাড়াও টিউমারটি কোথায় হয়েছে, স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত করেছে কি না বা কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইত্যাদি বিষয়সমূহর উপর নির্ভর করে উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় অনেকের মধ্যেই একই রকমের কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে । আসুন জেনে নেই কি কি সেই লক্ষণ-
১. চোখে ঝাপসা দেখা
২. মুখের স্বাদ চলে যাওয়া
৩. কাঁপুনি দেওয়া
৪. মৃগী রোগ,
৫. হাতের বা শরীরের একদিক অবশ হয়ে যাওয়া
৬. ভারসাম্য রক্ষা করতে না পারা। চলতে গিয়ে পড়ে যাওয়া ইত্যাদি।
৭. বুঝতে না পারা।
৮. ব্যক্তিত্বে বদল।
৯. অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
১০. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া ইত্যাদি।
উপরের সব লক্ষণের পাশাপাশি আরও দুটি উপসর্গ আছে যা নিয়মিত দেখা দিতে পারে। এ দুটি লক্ষণ হলো-
১. প্রচণ্ড মাথাব্যথা ও
২. মাথায় অতিরিক্ত চাপের জন্য নিজেকে অসুস্থ মনে হওয়া ।
ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের তথ্য মতে, এই মাথা ব্যথার ধরন সাধারণ মাথা ব্যথার চেয়ে আরও অনেক বেশি কষ্টদায়ক। এক্ষেত্রে খুব তীব্র ব্যথা হয়। এমনকি ব্যথা প্রতিদিনই হতে পারে। তাই মাথাব্যথাকে সামান্য ভেবে ওষুধ খেয়ে দমিয়ে রাখা ঠিক নয়। প্রতিনিয়ত প্রচন্ড মাথাব্যথা অনুভব হলে এবং অন্যান্য লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
★ ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি কাদের বেশি ★
**********************************************************************************
বেশিরভাগ সময়ই দেখা গেছে ষাটোর্ধ্ব বা তারও বেশি বয়সের মানুষ এই সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। ব্রেনের বা দেহের এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, রেডিওথেরাপি বেশি মাত্রায় হলেও এ রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
জিনগত রোগ যেমন- স্কেলেরোসিস, টার্নার সিনড্রোম, টাইপ ১ ও টাইপ ২ নিউরোফাইব্রোম্যাটোসিস আছে এমন ব্যক্তিদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। পরিবারে এই রোগে কেউ আক্রান্ত হলে এই রোগে আক্রান হতে পারে অন্য সদস্য। পুরুষরা নারীদের চেয়ে এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। মাথায় আঘাত পান যারা বা পুরাতন আঘাত থাকলে প্রোপার চিকিৎসা না নিলে পরবর্তীতে ব্রেন টিউমারে আক্রান্তের সম্ভাবনা প্রবল। তাই এসকল ঝুঁকি থাকলে ও উপরের কোন উপসর্গ বুঝতে পারলে দেরি না করে অতি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সচেতনতায়- roktobondhon.com।