থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ছোট্ট জিনিয়ার প্রয়োজনে শিমুল ভাইয়ের রক্তদান

ছোট বাচ্চা জিনিয়া। আক্রান্ত থ্যালাসেমিয়া নামক সর্বনাশা রোগে। প্রতি মাসে বাঁচার নতুন স্বপ্ন দেখে অন্যের রক্তে। যদি রক্ত না পাওয়া যায় হয়ে পড়ে ভীষণ অসুস্থ। প্রতিমাসে রক্তদাতা ম্যানেজ করার সংগ্রামে জীবন কাটে তার বাবা মায়ের। অথচ এই সন্তানকে নিয়ে আনন্দে হাশিখুশি জীবন কাটানোর কথা।

রোগী ও রোগীর বাবা-মায়ের এ যুদ্ধ জয়ে এমাসে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিলেন শিমুল সরকার ভাই। এক ব্যাগ বি পজেটিভ রক্তদানের মাধ্যমে ছোট্ট রোগী জিনিয়ার পাশে দাঁড়ালেন তিনি।

জিনিয়াকে রক্তদানের মুহূর্ত।

থ্যালাসেমিয়া রোগ নির্মূল করা সম্ভব নয়। তবে এটি প্রতিরোধযোগ্য। বিয়ের আগে হবু স্বামী ও স্ত্রীর রক্ত পরিক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় সন্তান থ্যালাসেমিয়া নামক অভিশাপ নিয়ে জন্মাবে কি না। কারণ, বাবা ও মা যদি থ্যালাসেমিয়ার বাহক হয়ে থাকে তাহলেই সন্তান আক্রান্ত হতে পারে থ্যালাসেমিয়া নামক এই অভিশপ্ত ব্যধিতে। 

হবু স্বামী-স্ত্রী উভয়েই যদি থ্যালাসেমিয়ার বাহক হয়ে থাকে তাহলে বিবাহ রোধের মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া রোধও সম্ভব। একটু ত্যাগ আপনাকে রাখতে পারে সারাজীবন নিশ্চিত এবং আপনার সন্তানকে থ্যালাসেমিয়া মুক্ত সুস্থ্য জীবন। এখন ভেবে দেখুন, সারাজীবন নিজেকে পেরেশানির মধ্যে রাখবেন, বাচ্চাকে কষ্ট ও যন্ত্রণার মধ্যে রাখবেন? নাকি একটি আত্মত্যাগে নিজের এবং আপনার সন্তানের কষ্ট লাঘব করে সারাজীবন সুখে ও শান্তিতে বসবাস করবেন? 

যারা রক্তদানে সক্ষম আসুন প্রতি ৪ মাস পরপর রক্তদান করি। আপনার আমার রক্তদান থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত এই বাচ্চাদের মুখে হাসি ফোটানোর পাশাপাশি ১ মাস তাদের সুস্থ্য রাখতে কাজ করবে। আর সাথে আমরা শারীরিকভাবে কতটা সুস্থ্য সে বিষয়ও পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে।

মনে রাখবেন থ্যালাসেমিয়া প্রতিকারযোগ্য নয়, এটি প্রতিরোধযোগ্য। 

1 thought on “থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ছোট্ট জিনিয়ার প্রয়োজনে শিমুল ভাইয়ের রক্তদান”

Leave a Comment