ঔষধের সাথে কি খাবেন না আর কিভাবে কোন কোন ঔষধ খাবেন

ঔষুধ সেবনের নিয়মঃ

প্রত্যহ জীবনে আমরা সবাই কম বেশি রোগ-ব্যাধির ও চিকিৎসার সাথে পরিচিত। আর এই রোগ-ব্যধি থেকে মুক্তি পেতে আমরা যার উপর নির্ভরশীল তার নাম ঔষধ। অনেক মানুষকে দেখা যায়, প্রতিনিয়ত ঔষধ সেবন করেন। কিন্তু তার অসুখ নিরাময় হয় না। কেন জানেন কি? কারণ সঠিক নিয়মে সেই মানুষগুলো ঔষধ খায় না। ঔষধ সেবনের সঠিক নিয়ম কি? আসুন আজ জেনে নেই ঔষুধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে। মনে রাখবেন, সঠিক নিয়মে ঔষুধ না খেলে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা সম্ভব নয়।

ঔষুধ খাওয়ার আগে ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেওয়া উচিত। জীবাণুযুক্ত হাতে ঔষধ খেলে হাতের জীবাণু পেয়ে চলে যায়। রোগী হাতে ঔষুধ খাওয়ায় অক্ষম হলে, যিনি ঔষধ খাওয়াবেন তার হাত ভাল করে ধুয়ে করে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমাদের শরীরের প্রায় সকল রোগই ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক, প্যারাসাইট ইত্যাদির মাধ্যমে আমাদের দেহে প্রবেশ করে।

এবার চিকিৎসক প্রেসক্রিপশনে যে ঔষুধগুলো লিখেছেন তার সাথে ফার্মেসী থেকে দেওয়া ঔষুধের মিল আছে কিনা মিলিয়ে নিতে হবে? মিল না থাকলে সেই ঔষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। মনে রাখবেন, ভুল ঔষুধ মৃত্যু ডেকে আনতে পারে বা আপনার অঙ্গহানি করে দিতে পারে।

ঔষুধের মেয়াদ আছে কি না দেখে নিন। ঔষুধের গায়ের মোড়কে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ দেওয়া থাকে। মেয়াদহীন ঔষুধ বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে। যা রোগীর ক্ষতি করে দিতে পারে। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে এর মাধ্যমে।

উপরের সব কিছু ঠিক থাকলে এবার ঔষধ খাওয়া শুরু করুন। ঔষধগুলো ডানহাতে নিয়ে পানির সাথে খেতে পারেন। মনে রাখবেন ডান হাতের তুলনায় বাম হাতে সাধারণত অনেক বেশি জীবানু থাকে।

যে ঔষধগুলো খাবার আগে খেতে হয়ঃ 

ডাক্তার কোন ঔষধগুলো খাবার আগে খেতে বলেছে আর কোনগুলো খাবারের পরে খেতে বলেছেন সেগুলো ভালো করে দেখে নিতে হবে। সাধারণত নিচের এই ঔষধগুলো খাবার আগে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

সকল ধরনের গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ (শুধু মাত্র গ্যাস্ট্রিকের সিরাপ ব্যাতীত) যেমন-

H2 Blocker- Ranitidine, Famotidine,  Cimetidine etc.

PPI- Pantoprazole,Lansoprazole,Omeprazole,Rabeprazole,Esomeprazole,Dexolansoprazole.

বমির ইন্টিস্টাইন মোটালিটির ঔষধগুলো খাবারের আগে খেতে হয়।

কিছু এন্টিবায়োটিক ঔষুধ : Azithromycin, Erythromycin etc. এগুলো ঔষধ খাবারের আগে খাওয়াই ভালো।

ডায়াবেটিসের কিছু ঔষধ খাবারের আগে খেতে হয়। যেমন- মেটফরমিন।

আরও কিছু ঔষধ আছে যেগুলো খাবার আগে খেতে হয়। উপরের ঔষধগুলো অবশ্যই খাবার আধা ঘন্টা আগে খাওয়া উচিত। এতে করে শরীরে ঔষধগুলো পরিপূর্ণভাবে কাজ করতে পারে।

যে ঔষধগুলো খাবার পর খেতে হয়ঃ

নিচের ঔষধগুলো খাবার পরে ভরা পেটে খেতে হয়। খাবার খাওয়ার ২৫-৩৫ মিনিট পরে এসব ঔষধ খাওয়া উচিত। না হলে রোগীর হাইপার এসিডিটি হতে পারে। এসব ঔষধ সমূহ হচ্ছেঃ

★ সকল ধরনের ব্যাথার ঔষধ।

যেমনঃ Naproxen, Sulindac, ketorolac, Ibuprofen ইত্যাদি।

★ অন্যান্য এন্টিবায়েটিক:

Ciprofloxacin, Levoflaxacin, Cefuroxime, Cefixime এজাতীয় ঔষধগুলো খাবার পরে খেতে হয়।

★ গ্যাস্টিকের সিরাপ জাতীয় ঔষধ :

Entracyd Plus (Aluminium Hydroxide +Magnesium Hydroxide+Simethicone),Marlax plus(Magaldrote+Simethicone)  এ ধরনের ঔষধগুলো খাবার পরে খেতে হয়।

এছাড়া অন্যান্য প্রায় সকল ঔষুধ ডাক্তার খাবার খাওয়ার পরেই সেবনের পরামর্শ দিয়ে থাকে।

যে ঔষধগুলো খাবার মাঝে খেতে হয়ঃ

কিছু ঔষধ খাবারের মাঝে অর্থাৎ খাবার খেতে খেতেই সেবন করতে হয়। এসকল ঔষধ হচ্ছে-

* তীব্র ব্যাথার ঔষধ।

যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেশি। তাদের জন্য ব্যথার ঔষধ খাবার মাঝে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে ডাক্তার।

যে সকল ঔষধ চুষে খাবেনঃ

কিছু ঔষুধ আছে যেগুলো চুষে খেতে হয়। এসব ঔষধের মধ্যে রয়েছে-

কৃমিনাশক ঔষধ: Albendazole

ভিটামিন সি: Ascorbic Acid:Ceevet (Vitamin c)

গ্যাস্ট্রিকের কিছু ঔষুধ: Aluminium Hydroxide+Magnesium Hydroxide ইত্যাদি।

যে ঔষুধ পানির সাথে মিশিয়ে খেতে হয়ঃ

কিছু ঔষুধ আছে যেগুলো পানির সাথে মিশিয়ে খেতে হয়। এসকল ঔষধ হচ্ছে-

UTI- এর জন্য Urikal(Citric Acid monogydrate+potassium Citrate).

ক্যালসিয়াম + ভিটামিন সি জাতীয় ঔষধ,

ঔষুধ খাওয়ার কিছু গুরত্বপূর্ণ নিয়মঃ

বাচ্চাদের সাসপেনশন জাতীয় ঔষধগুলো অনেকেই ফুটন্ত গরম পানি দিয়ে প্রস্তুত করে থাকেন। এটা একদমই ভুল কাজ ! নিয়মটি হচ্ছে, বিশুদ্ধ পানি দিয়ে অথবা ফুটানো পানি ঠান্ডা করে সেই পানি দিয়ে ঔষধ প্রস্তুত করা।

ঔষধ অবশ্যই বসে সেবন করা উচিত। অন্যাথায় শ্বাসনালিতে ঔষধ চলে যেতে পারে। আর এমনটা হলে মুহূর্তেই একজন মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে।

যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত, তারা অনেকেই এক সাথে প্রায় সব রোগের ঔষুধ খেয়ে ফেলেন। এটা খুবই ভুল কাজ। কমপক্ষে ১৫/২০ মিনিট অন্তর অন্তর ঔষধ সেবন করতে হবে।

কিছু ঔষধ আছে যেগুলো সকালে খাওয়া উত্তম।  

এসব ঔষধের মধ্যে রয়েছে-

ইডিমা বা শরীরে পানি কমার: Frusemide etc (কারণ বহু মুত্র তৈরি করে )

উচ্চ রক্তচাপ  ও হার্টের ঔষুধ।

কিছু ঔষুধ দুপুরে খাওয়া উত্তম। 

এসকল ঔষধের মধ্যে রয়েছে-

এসপিরিন জাতীয় ঔষুধ।

কিছু ঔষুধ রাতে খাওয়ায় উত্তম। 

প্রায় সকল ধরনের স্লিপিং পিল রাতে খেতে হয়।

এইবার জেনে নিন ডাক্তারদের কিছু লেখা, কি নির্দেশ করে-

bid- দিনে ২বার। অর্থাৎ ১২ ঘন্টা পর পর খেতে হবে।

tid- দিনে ৩বার। অর্থাৎ ৮ ঘন্টা পর পর ঔষধ খেতে হবে।

qid- দিনে ৪ বার। অর্থাৎ ৬ ঘন্টা পর পর ঔষধ সেবন করতে হবে।

hs- রাতে বিছানায় যাওয়ার সময় ঔষধ খেতে হবে।

ac- খাবার আগে ঔষধ খেতে হবে।

pc- খাবার পরে ঔষধ খেতে হবে।

NPO- মুখে কোন কিছু খাওয়া যাবে না। অর্থাৎ স্যালাইন বা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ঔষধ নিতে হবে।

কিছু ঔষধ শুধু মাত্র সাব্লিংওয়ালে ব্যবহারের জন্য। যেগুলোর বেশিরভাগই স্প্রে টাইপের। এসব ঔষধ জিহব্বার নিচে স্প্রে করতে হয়। যেমন- নাইট্রোগ্লিসারিন।

কিছু ঔষুধ শুধুমাত্র পায়ুপথে ব্যবহার করতে হয়। সকল ধরনের সাপজেটিরি ঔষধ। সাপজেটিরি ভল্টানিন, ইন্ডোমেথাসিন, গ্লিসারিন ইত্যাদি।

আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হতে ক্লিক করুন নিচের লিংকেঃ

https://www.facebook.com/groups/roktobondhon/

কিছু ঔষধ আছে যগুলো মুখে শ্বাস টেনে ভিতরে নিতে হয়। সকল ইনহেলারেশন এর অন্তর্ভুক্ত।  যেমন- সলবিটামল, টিকামেট ইত্যাদি ঔষধ।

সকল ধরণের সিরাপ জাতীয় ঔষুধ প্রতিবার খাবার আগে ঝাঁকিয়ে নিয়ে সেবন করতে হয়। এতে ঔষুধের সকল উপাদান সঠিকভাবে মিশ্রিত হয়।

যারা ঘুমের বা দুশ্চিন্তার জন্য সায়কাটিকস ঔষধ খেয়েও বলেন ঘুম ধরে না, তাদের জন্য এসব ঔষধ অবশ্যই আপনাকে বিছানায় যাওয়ার কমপক্ষে ২ ঘন্টা আগে খেতে হবে। কারণ ম্যাক্সিমাম ঔষধের কার্যক্রিয়া ১-২ ঘন্টা পরে শুরু হয়।

কিছু ঔষধ আছে যেগুলো শ্বাসনালি দিয়ে টেনে শ্বাস নিতে হয়। যেমন- মেনথল। এটি গরম পানিতে দিয়ে শ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে বাস্প আকারে টানতে হয়।

কিছু ঔষধ সর্বদা বহিঃত্বকে ব্যবহারের জন্য নির্দেশিত। সকল ধরনের টপিক্যাল লোশন, ক্রিম, অয়েনম্যান্ট, পাউডার ইত্যাদি সকল ঔষধ ত্বকে ব্যবহার করতে হয়।

আবার কিছু ঔষধ আছে যেগুলো মহিলাদের মাসিকের রাস্তায় ব্যবহার করতে হয়। এসব ঔষধের মধ্যে Cap, Vcap, Gynomix অন্যতম।

পরামর্শঃ

আকারে বড়  ট্যাবলেটগুলো প্রয়োজনে ভেঙ্গে টুকরো  করে খাওয়া যায়।

# বাচ্চাদের চিকিৎসায় সর্বদা সিরাপ খাওয়া ভালো। ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল জাতীয় ঔষধ বাচ্চাদের খ্যাদ্যনালী বা শ্বাসনালিতে আটকে যেতে পারে। এর ফলে শিশুর দ্রুতই মৃত্যু হতে পারে।

ঔষুধের সাথে যে সকল খাবার গ্রহন করা যাবে নাঃ

★ ঠান্ডা/ফ্রিজের পানি দিয়ে ঔষধ সেবন করবেন নাঃ

ফ্রিজের ঠান্ডা পানি ঔষধের গুনগুলো নষ্ট করে দেয়। ফলে ঔষধের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে ঔষধ সেবন করলেও কোন উপকারই হয় না। নরমাল পানি, গ্লুকোজ বা জুসের মাধ্যমে সকল ঔষুধ সেবন করতে হয়।

★ অ্যান্টিবায়োটিক আর দুধ একসাথে নয়ঃ

অ্যান্টিবায়োটিকের বিশেষ কিছু উপাদান ক্যালশিয়ামের সাথে মিশে দানা বা জট হয়ে যায়। ফলে ঔষধ পেটের মাধ্যমে রক্তে প্রবেশ করতে পারে না। তাই অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে দুধ খাওয়া উচিত নয়। তবে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার দেড় থেকে দুই ঘণ্টা আগে বা পরে দুধ পান করা যাবে। 

★ গ্রেপফ্রুট আর ট্যাবলেট একসাথে নয়ঃ

গ্রেপফ্রুট বা স্বাদে টক জাতীয় ফলের ভেষজ উপাদান অন্ত্র বা পেটের এনজাইমকে দমন করে বা বাধা দেয়। তাই ঔষধের সাথে গ্রেপফ্রুট না খাওয়াই উত্তম। অর্থাৎ চিকিৎসা চলাকালীন গ্রেপফ্রুট বা টক জাতীয় খাবারকে একেবারে দূরে রাখুন।

★ কফি বা চায়ের সাথে আয়রন ট্যাবলেট নয়ঃ
আয়রন ট্যাবলেটের কাজ অন্ত্রের মাধ্যমে রক্তে প্রবেশ করা। কিন্তু এই ট্যাবলেটের সাথে যদি চা বা কফি পান করা হয়, তাহলে তা মুত্রের মাধ্যমে তাড়াতাড়ি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে আয়রন ট্যাবলেটের উপকারিতাও কমে যায়। তাই রক্ত স্বল্পতার কারণে যারা আয়রন ট্যাবলেট খাচ্ছেন, তারা অবশ্যই ট্যাবলেট সেবনের দু’ঘণ্টা আগে অথবা পরে চা বা কফি পান করবেন।

★ ঔষধকে পুরোপুরি কাজে লাগতে ঘনত্ব কমানোর ঔষুধের সাথে সবুজ সবজি নয়ঃ

ব্রকোলির মতো সবুজ সবজিতে বা সালাদে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘কে’ থাকে,। এই ভিটামিন রক্ত জমাট  বাঁধতে বাঁধা দেয়। তবে যারা রক্তের ঘনত্ব কমাতে, বিশেষ করে পা ফুলে যাওয়ার জন্য ঔষুধ খান। তাদের উচিত  সেসব ঔষুধের সাথে সবুজ সবজি খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখা।

★ রেডিমেড মাংসের সাথে ডিপ্রেশনের ঔষুধ নয়ঃ

তৈরি মাংসের খাবারে (যা মূলত পশ্চিমা বিশ্বে বেশি পাওয়া যায়) প্রচুর পরিমাণে টিরামিন থাকে। তাই যারা বিষণ্ণতায় ভুগছেন তাদের চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে এসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ রেডিমেড মাংস এবং ডিপ্রেশনের ঔষধ একসাতে খেলে সুস্থ হওয়াটা দীর্ঘায়িত করে। এতে করে উচ্চ রক্তচাপও হতে পারে।

★ চিপসের সাথে ‘কর্টিসোন’ নয়ঃ

কর্টিসোন হলো এক ধরণের অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিনিঃসৃত হরমোন। যখন কেউ কর্টিসোন সেবন করবেন, তখন কোনভাবেই তার সঙ্গে চিপস খাওয়া যাবে না। বিশেষ করে কর্টিসোন ঔষধটি যদি ত্বকের সমস্যার জন্য খেতে হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই নিয়ম মানতে হবে। কারণ কর্টিসোনে থাকা ন্যাট্রিউম আপনার পেট ব্যথা ও গলা ব্যথার কারণ হতে পারে।

★ সেরিয়ালের সাথে ‘প্যারাসিটামল’ খাবেন নাঃ

সেরিয়াল বা বিভিন্ন দানায় থাকা আঁশ ব্যথার ঔষধকে ভালোভাবে কাজ করতে তো দেয়ই না বরং বাঁধার সৃষ্টি করে। অর্থাৎ পেট বা অন্ত্রকে দমন করে থাকে সেরিয়াল নামক উপাদান। তাই শষ্যদানা, আঁশ জাতীয় খাবার কোন ব্যথার ঔষধের সাথে খাবেন না।

★ অ্যাজমার ঔষুধ আর গোলমরিচ একসাথে নয়ঃ

যারা অ্যাজমা বা হাঁপানির ঔষুধ সেবন করেন, তাদের গোলমরিচ না খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ গবেষণায় বলছে, গোলমরিচের ঝাঁঝ অ্যাজমার ঔষুধের কর্মক্ষমতা কমিয়ে তার গতিও ধীর করে দেয়। তাই যাদের হাঁপানি আছে, তারা গোলমরিচ এড়িয়ে চলুন।

পরামর্শঃ

যেকোন ঔষধ সেবন করার আগে ঔষধের ভালো-মন্দ দিকগুলো ডাক্তারের কাছে জেনে নিন। আর ঔষুধের সাথে থাকা ছোট্ট তথ্যপুস্তিকাটি ফেলে না দিয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। ঔষুধ সুস্থ করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার পাশ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে হবে সকলকে। আমাদের খাদ্যাভ্যাস যেন আমাদের চিকিৎসার পথে বাধা সৃষ্টি না করে এদিকে নজর রাখলেই তাড়াতাড়ি ও পুরোপুরি সুস্থ হওয়া সম্ভব। 

আরও পড়ুনঃ খালিপেটে চা বা কফি কতটা ক্ষতিকর? কি খাবেন খালিপেটে? 

Leave a Comment