‘ অনেক রোগীর প্রয়োজনে রক্তদাতা খুঁজে দেই ভাই। কিন্তু আমার প্রয়োজনে কাউকে নক দিলে কোন সাড়া পাই নাই ‘।
ভাই,, আমি কিন্তু বলি না যে আমাকে ব্লাড ম্যানেজ করে দিতেই হবে।
আপনাদের সামান্য সাপোর্ট চাই ভাইয়া ,,,
এতটুকুও কি আশা করতে পারিনা!
ইনবক্সে নক দিলেও কথা বলেন না,মেনশন দিলেও কথা বলেন না,, তাহলে কেমনে কি!!!
এতটুকুও কি আশা করতে পারিনা!!
আক্ষেপ ও অভিযোগের সাথে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন রক্তদাতা সৌরভ আহমেদ সাইফ ভাই।
ও+ রক্তের প্রয়োজনে অনেককেই নক দিয়েছেন কয়েক ঘন্টা আগে। কিন্তু কেউ ম্যাসেজ সিনই করেন নি। তার শারীরিক ওজন মাত্র ৪৬ কেজি। অর্থাৎ রক্তদানের যোগ্য নন তিনি। তবুও প্রয়োজনে নিজের A- রক্ত এক্সচেঞ্জ হিসেবে দিতে চেয়েছেন তিনি। কেউ রক্তদান বা রক্তদানের আশ্বাস দেন নি তাঁকে। সর্বশেষ, একজন বয়স্ক ব্যক্তির পাকস্থলী অপারেশনে A- রক্তের প্রয়োজন বিধায় এক ভাই তাকে ও পজেটিভ রক্তের ব্যবস্থা করে দিবেন এই আশ্বাস প্রদান করেন। সেই ভরসায় এবং কারও সাড়া না পাওয়ার আফসোস ও আক্ষেপ নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে এক ব্যাগ রক্তদান করে এসেছেন তিনি।
রোগীর প্রয়োজনে রক্তদাতা খুঁজে দিতে না পারলে খারাপ লাগা কাজ করে। কিন্তু, তার থেকেও অনেক বেশি খারাপ লাগা কাজ করে যখন শুনতে পারি সময় হওয়ার আগে, ওজন কম নিয়ে, বয়স কম হওয়ার পড়েও অথবা রক্তদাতা না পেয়ে অসুস্থ শরীর নিয়েও একজন মানুষকে বাধ্য হয়ে রক্তদান করতে হয়। এই পরিস্থিতিগুলো তৈরি হয় আপনাদের মত মানুষদের জন্য যারা রক্তদানে সক্ষম তবুও রক্তদানে এগিয়ে আসেন না। আপনার রক্তদান একটি প্রাণ বাঁচানোর সহায়ক হতে পারে। একটি পরিবারকে সুখের আলো নিভে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে। আরও পারে রক্তদানে সক্ষম নয় বা রক্তদানের সময় হয়নি এমন ব্যক্তিকে রক্তদান থেকে বিরত রেখে তাদের ও রোগীর সুস্থতা নিশ্চিত করতে।
দয়া করে অজুহাত দূরে ঠেলে রক্তদানে এগিয়ে আসুন।
আপনার দান হোক অন্যের জীবন বাঁচার একমাত্র উপকরণ এবং উসিলা।
রক্তদানের জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করার সুযোগ দিতে রেজিষ্ট্রেশন করুন নিচের লিংকেঃ