Hydronephrosis হাইড্রোনফ্রোসিস:
কিডনির সামান্য ক্ষতিই আপনার শরীরকে যথেষ্ট অসুস্থতায় ভোগাতে পারে। কিডনী শুধুমাত্র আমাদের পানিই শোষণ করে না। এটি আমাদের দেহের বর্জ্য বা টক্সিন পদার্থগুলোকে বের করতে ছাকনির কাজ করে থাকে। কিন্তু যখন কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তখন এটি তার স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কাজ করতে পারে না। যার ফলে আমাদের শরীরে থাকা ক্ষতিকর বর্জ্য বা টক্সিন শরীর থেকে বের হতে না পেরে দেখের বিভিন্ন অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে কিডনির সমস্যার পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যাও সৃষ্টি ও বৃদ্ধি করে। এছাড়াও কিডনি প্রস্রাবের মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে টক্সিন নির্গত করে থাকে। এই প্রক্রিয়ায় অর্থাৎ প্রস্রাবে কোন বাঁধা বা এ জাতীয় সমস্যা থাকলে তা স্থায়ীভাবে কিডনির ক্ষতি করে থাকে। যার প্রভাবে কিডনি শরীর থেকে আর টক্সিন বা বর্জ্য পদার্থকে বের করতে পারে না। ফলে কিডনিতে প্রস্রাব জমে হাইড্রোনফ্রোসিস রোগে আক্রান্ত হতে পারেন আপনি।
হাইড্রোনফ্রোসিস আক্রান্ত হলে প্রস্রাব জমা হয়ে ১টি কিডনি বা উভয় কিডনিই ফুল যায়। এই ফুলে যাওয়াটা বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। আবার যে কোন বয়সের মানুষ এই হাইড্রোনফ্রোসিস রোগে আক্রান্ত হতে পারে। যদি এটি ১টি কিডনিকে প্রভাবিত করে, তাহলে একে এক তরফা হাইড্রোনফ্রোসিস বা One Side Hydronephrosis বলা হয়ে থাকে। আর যদি উভয় উভয় কিডনি আক্রান্ত হয়ে যায় তাহলে একে বলা হয় দ্বিপাক্ষিক হাইড্রোনফ্রোসিস বা Two/Both side Hydronephrosis.
হাইড্রোনফ্রোসিসের কারণ কীঃ
মূত্রনালীতে কোনো বাঁধা বা আঘাতপ্রাপ্ত হলে এটিই হতে পারে হাইড্রোনফ্রোসিসের কারণ। আমাদের পেটে টিউবের মত একটি জিনিস আছে, যাকে বলা হয় ইউরেটার্স। এই ইউরেটার্স কিডনির সাথে মূত্রথলিকে সংযুক্ত করে। আর এই টিউবগুলোর মাধ্যমেই আমাদের প্রস্রাব নিষ্কাশন হয়ে থাকে। আমাদের কিডনি মূত্রনালীর সাথে যেখানে মিলিত হয় সেই স্থানের মূত্রনালীতে প্রায়ই একটি ব্লকেজের তৈরি হয়ে থাকে। এর প্রভাবে ইউরেটরের সাথে মূত্রাশয় বা মূত্র থলির সংযোগস্থলেও অল্প হলেও ব্লকেজ সৃষ্টি হতে পারে। আরও কিছু কারণ আছে যার ফলে মানুষ কিডনির এই সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে। সেগুলো হচ্ছে–
ভেসিকোরেটেরাল রিফ্লেক্স:
প্রস্রাব যকজন মূত্রাশয় থেকে মূত্রনালী দিয়ে কিডনির পিছন দিকে প্রবাহিত হয়ে থাকলে একে ভেসিকোরেটেরাল রিফ্লাক্স বলা হয়। সাধারণত, প্রস্রাব মূত্রনালীতে শুধুমাত্র একটি পথে প্রবাহিত হয়। কিন্তু যখন প্রস্রাব পিছনের পথে বা প্রবাহিত হওয়া শুরু করলে আমাদের কিডনি থেকে প্রস্রাব সম্পূর্ণভাবে বের হতে পারে না। এর ফলে আমাদের কিডনি ফুলে যেতে পারে।
এছাড়াও মূত্রনালীর অবরোধের আরও কিছু কারণ রয়েছে, যা কিডনিক হাইড্রোনফ্রোসিসের দিকে ধাবিত করতে পারে।
তার মধ্যে রয়েছে-
★ কিডনি স্টোন স্ফটিক,
★ ক্যান্সার বা টিউমার,
★ রক্ত জমাট বাঁধার বিকাশ,
★ মহিলাদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থা এবং জরায়ু প্রল্যাপস,
★ জন্মগত সমস্যা, যেমন জন্মগত ত্রুটি- শিশুদের মধ্যে হাইড্রোনফ্রোসিস প্রায়শই (জন্ম পরবর্তী) বা এমনকি জন্মের আগে (প্রসবাবস্থায় বা প্রসবের আগে) সনাক্ত হতে পারে।
★ মহিলাদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থা এবং জরায়ু প্রল্যাপস,
★ ব্লকেজ শরীরের বাহিরে প্রস্রাবের প্রবাহকে সীমিত বা বাঁধাগ্রস্ত করে। যার প্রভাবে কিডনিতে প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়তে থাকে। ফলে কিডনি ফুলে যায়। ফলে একই সময়ে মূত্রনালীগুলো প্রসারিত হতে পার। এর ফলে সৃষ্টি হতে পারে হাইড্রোরিটেরোনফ্রোসিস রোগ।
হাইড্রোনফ্রোসিসের লক্ষণঃ
প্রাথমিক পর্যায়ে হাইড্রোনফ্রোসিসে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে অনেক সময়ই কোন উপসর্গ দেখা যায় না। তবে শেষ পর্যায়ে এই রোগের লক্ষণ রোগীর শরীরে দেখা দিতে পারে।
হাইড্রোনফ্রোসিসে কিডনি ফুলে যাওয়ার বিষয়টি খুব দ্রুত বা তীব্রভাবে ঘটতে পারে। আবার ধীরে ধীরেও কিডনি ফুলে উঠতে পারে। এই দ্রুততা বা ধীরতার উপরই হাইড্রোনফ্রোসিসের লক্ষণগুলো আক্রান্ত রোগীর মাঝে দেখা দিতে থাকে।
তীব্র হাইড্রোনফ্রোসিসে আক্রান্ত ব্যক্তির আরও যে সকল সমস্যা হতে পারেঃ
১. আকস্মিক ব্যথা:
হঠাৎ করে রোগীর যে কোন পাশে বা একপাশে বা দেহের পিছনে অথবা পেটে, কুঁচকিতে ও তার আশাপাশের অঙ্গে মৃদু থেকে তীব্র ব্যথা হতে পারে। আবার প্রস্রাব করার সময়ও এই সকল স্থানে ব্যথা অনুভব হতে পারে।
২. প্রাস্রাবের তাগিদ বেড়ে যাওয়া:
এই রোগের কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনঘন প্রস্রাব হতে থাকে। প্রস্রাব করে আসার পরেও কিডনিতে প্রস্রাব জমে থাকায় কিছুক্ষণের মধ্যে আবার প্রস্রাবের চাপ সৃষ্টি হয়।
৩. প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া:
আক্রান্ত ব্যক্তির প্রস্রাবের সাথে হালকা থেকে বেশি পরিমাণ রক্ত আসতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে রক্ত না আসলেও চূড়ান্ত পর্যায়ে এমনটা হয়ে থাকে।
৪. জ্বর এবং দুর্বলতা:
আক্রান্ত রোগীর দেহে জ্বর থাকে এবং শরীর দুর্বল অনুভব হয়। কিডনির প্রভাবিত হওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধির সাথে সাথে জ্বর এবং দুর্বলতার পরিমাণও বাড়তে থাকে। জ্বরের সাথে কাঁপুনি হতে পারে।
৫. বমি বমি ভাব ও বমি:
কিডনি চুড়ান্ত পর্যায়ে প্রভাবিত হতে আক্রান্ত ব্যক্তির বমি বমি ভাব ও খাবারে অরুচি দেখা দিয়ে থাকে। অনেক সময় খাবার খেলে বা এমনিই বমি হয়ে থাকে আক্রান্ত রোগীর।
দীর্ঘস্থায়ী হাইড্রোনফ্রোসিস সময়ের সাথে সাথে বিকাশ ঘটে তীব্রতা লাভ করে। তীব্রতা বা চূড়ান্ত পর্যায়ের আগে সচরাচর এই রোগটির নির্দিষ্ট কোন উপসর্গ রোগীর শরীরে দেখা যায় না। তবে রোগীর কিডনি ফেইলিওরের লক্ষণ থাকতে পারে। যা প্রায়শই অনির্দিষ্ট এবং রোগীর মাঝে অস্থিরতা, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া বা পা ফুলে যাওয়ার মত কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে। ইলেক্ট্রোলাইট অস্বাভাবিকতার কারণে হৃদস্পন্দনে ব্যাঘাত এবং কিডনি সোডিয়াম, পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম নিয়ন্ত্রণে অক্ষম হওয়ায় পেশীর খিঁচুনি হতে পারে।
আপনি যদি আপনার বা কারও মাঝে হাইড্রোনফ্রোসিসের কোন উপসর্গ বা লক্ষণ বুঝতে পারেন, তাহলে দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব ভালো কোন কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হয়ে পরামর্শ গ্রহণ করুন। মনে রাখবেন, কখনই এই রোগটিকে চরম বা চূড়ান্ত পর্যায়ের দিকে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত নয়।
হাইড্রোনফ্রোসিস কি কি জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে?হাইড্রোনফ্রোসিস যদি সঠিক সময়ে নির্ণয় করা না হয়, তাহলে মূত্রনালীর সংক্রমণ (ইউটিআই) এর মতো জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঘটাতে পারে এই হাইড্রোনফ্রোসিস রোগটি।
আক্রান্ত ব্যক্তি রোগের লক্ষণের উপর নির্ভর করে কিছু টেস্ট করতে দিবেন এবং টেস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী আক্রান্ত ব্যক্তি হালকা, মাঝারি নাকি গুরুতর কোন পর্যায়ের হাইড্রোনফ্রোসিসে ভুগছে তা নির্ণয় করবেন।
হাইড্রোনফ্রোসিস রোগ নির্ণয়:
সাধারণত হাইড্রোনফ্রোসিস রোগীর চিকিৎসা অন্তর্নিহিত কারণের উপর নির্ভর করে। যা রোগীর কিছু ক্লিনিকাল পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়।
ডাক্তার প্রথমে আক্রান্ত ব্যক্তির একটি বা কয়েকটি শারীরিক টেস্ট দিয়ে চিকিৎসা পদ্ধতি শুরু করবেন। আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যথার স্থান ও তীব্রতা, অসুস্থতা ও শারীরিক কিছু পরিবর্তনের পাশাপাশি অন্যান্য লক্ষণসমূহকে মূল্যায়ন, অতীতের বিশদ ইতিহাস সম্পর্কে জানা ও আপনার তলপেটে বর্ধিত মূত্রাশয় অনুভব করার মাধ্যমে এই পরীক্ষাগুলোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
★ রক্ত পরীক্ষা:
এছাড়া রোগীর কোন সংক্রমণ সনাক্ত করতে CBC, RBS, S. Creatinine, S. Bilirubin সহ কিডনির কার্যকারিতা মূল্যায়নের জন্য রক্তের ইউরিয়া নাইট্রোজেনের পরীক্ষা দেওয়া হয়ে থাকে।
পাথর বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের উপস্থিতি শনাক্ত করার জন্য প্রস্রাব পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তার।
★ আল্ট্রাসাউন্ড:
পাশাপাশি হাইড্রোনফ্রোসিস আছে কি না বা এটি কোন পর্যায়ে আছে তা নির্ণয় করার জন্য একটি আল্ট্রাসাউন্ড করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তার।
★ এক্স-রে:
কিডনি, মূত্রনালী এবং মূত্রাশয়ের ক্লিয়ার ভিউ দেখার জন্য ডাক্তার একটি এক্স-রে দিয়ে থাকেন। এই এক্স-রে কে বলা হয় KUB এক্স-রে। মূলত কিডনির পাথর রেডিওডেন্স বা রেডিওলুসেন্ট কোন পর্যায়ে আছে সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে এবং এই পাথরটি মূত্রনালী থেকে অপসারণ করা সম্ভব কি না সেটি জানা যায় এই KUB এক্স-রের মাধ্যমে।
★ এমআরআই ও সিটিস্ক্যান:
এমআরআই এবং সিটিস্ক্যানের পরামর্শ দিতে পারে ডাক্তার। এমনও হতে পারে কিডনির কার্যকারিতা এবং নিষ্কাশন ক্ষমতা কতটুকু তা মূল্যায়ন করার জন্য ডাক্তার রোগীকে MAG3 স্ক্যান করারও পরামর্শ দিতে পারেন।
হাইড্রোনফ্রোসিসের চিকিৎসা:
রোগী কোন পর্যায়ে আছে তা নির্ণয়ের মাধ্যমে হাইড্রোনফ্রোসিস রোগের চিকিৎসা করা হয়ে থাকে।
অর্থাৎ রোগীর পর্যায় অনুযায়ী চিকিৎসার ধরণ ভিন্ন হয়ে থাকে।
হালকা ও মাঝারি হাইড্রোনফ্রোসিসের চিকিৎসা:
হাইড্রোনফ্রোসিস রোগে আক্রান্ত রোগীর রোগ যদি মাঝারি বা হালকা পর্যায়ে থেকে থাকে তাহলে ডাক্তার রোগীকে observation বা পর্যবেক্ষণে রাখতে পারেন। মূত্রনালীর সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য রোগীকে কিছু এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবনের পরামর্শ দিতে পারেন। আবার রোগীর সাইড পেইন, ব্যাক পেইনের বা পেট ব্যাথার পরিস্থিতি বিবেচনা করে কিছু পেইন কিলার বা ব্যথানাশক ঔষধ সেবনের পরামর্শ দিতে পারেন।
গুরুতর হাইড্রোনফ্রোসিসের চিকিৎসা:
আক্রান্ত ব্যক্তির মূত্রাশয় বা মূত্রনালীর ব্লকেজ যদি গুরুতর হয়ে থাকে তাহলে ডাক্তার কিডনি থেকে অতিরিক্ত প্রস্রাব নিষ্কাশনের জন্য নেফ্রোস্টমি টিউব ব্যাবহারের মাধ্যমে অতিরিক্ত বা আটকে থাকা প্রস্রাব নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করবেন।
কিডনি থেকে মূত্রথলিতে প্রস্রাবের স্বাভাবিক প্রবাহ পুনরুদ্ধার করতে এবং বাঁধার মূল কারণ নিরাময় করতে অপারেশন বা অস্ত্রপাচারের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। হাইড্রোনফ্রোসিসের অন্তর্নিহিত কারণ নিরাময়ের জন্য কিডনিতে তৈরি হওয়া পাথর ভেঙে ফেলতে শক ওয়েভ লিথোট্রিপসি পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারে বিশেষজ্ঞ সার্জন।
সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা করা না হলে চূড়ান্ত পর্যায়ে হাইড্রোনফ্রোসিস কিডনির স্থায়ী ক্ষতি করতে সক্ষম। ক্ষেত্র বিশেষে এই আক্রান্ত ব্যক্তির কিডনি ফেইলিওরের মত ঘটনা ঘটাতে সক্ষম। হাইড্রোনফ্রোসিস সাধারণত একটি কিডনিকে প্রভাবিত করে এবং অন্য অন্য কিডনি স্বাভাবিক কাজ করতে পারে। তবে একটি কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ বা অকেজো হয়ে গেলে অন্য কিডনির উপর চাপ পড়ায় সুস্থ্য কিডনিটিও দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে।
হাইড্রোনফ্রোসিস কতদিন স্থায়ী হয়:
হাইড্রোনফ্রোসিস রোগকে অবহেলা করে চিকিৎসা করা না হলে এই রোগ রোগীকে মারাত্মক ক্ষতির দিকে ধাবিত করতে পারে। যা স্থায়ীভাবে কিডনির ইনফেকশন, কিডনি ফেইলিওর, কিডনি ড্যামেজের মত ঘটনা ঘটাতে পারে। কিডনি ফোলালে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে এই সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। এমনকি ৬ সপ্তাহ চিকিৎসা নিলে কিডনিকে ক্ষতি হতে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।
হাইড্রোনফ্রোসিসে আক্রান্ত ব্যক্তির কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত:
কিডনির যে কোন রোগে আক্রান্ত রোগীকে কিডনির জন্য সহায়ক এমন খাবার গ্রহণ করা উচিত। হাইড্রোনফ্রোসিস আক্রান্ত রোগীকে ডাক্তার প্রতিদিন ২০০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম ও পটাশিয়ামযুক্ত খাবার এবং ৮০০–১০০০ মিলিগ্রাম ফসফরাস সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের সীমাবদ্ধতা দিতে পারেন।
অ্যাভোকাডো, বাদামী চাল, গাঢ় রঙের সোডা, দুগ্ধজাত দ্রব্য, কমলা, কলা এসব খাবারে উচ্চ পটাশিয়াম থাকার কারণে এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। পাশাপাশি বিটলবণ ও লবণ জাতীয় খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত নয় এসকল রোগীর।
কিছু প্রক্রিয়াজাত মাংস এবং টিনজাত খাবারে প্রচুর লবণ থাকে যা হাইড্রোনফ্রোসিসে আক্রান্ত অবস্থায় রোগীর জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ প্রস্রাবের কন্ট্রোল হারানোর কারণ কি?