আলহামদুলিল্লাহ। আরও একবার রক্তদানের হাত বাড়িয়ে দিলেন বিপ্লব হোসেন ভাইয়া।
থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগী। বিটা থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীর হিমোগ্লোবিন প্রতিমাসে ৫-৬ এ নেমে যায়। প্রতিমাসের মত এমাসেও হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ায় রোগীর জন্য ৩ ব্যাগ রক্ত প্রয়োজন বলে জানান ডাক্তার।
দুর্লভ গ্রুপের রক্ত হওয়ায় রক্তদাতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না৷ গত পরশু এক ব্যাগ রক্ত ম্যানেজ করা হয়েছিল। গতকাল ডোনার পাইনি। রোগীর বিস্তারিত তথ্য জেনে ফিরোজ ভাই জানান তার কাছে ডোনার আছে। ফিরোজ ভাই একজনকে দ্বায়িত্ব দেন ডোনারের সাথে যোগাযোগ করার জন্য। দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি ডোনারের সাথে যোগাযোগই করে নি৷ এতে সারাদিন রোগী অপেক্ষায় ছিল আর ডোনারও অপেক্ষায় ছিল রক্তদান করবেন বলে।
সন্ধ্যার আগে ফিরোজ ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানানো হলে ফিরোজ ভাই ডোনারের নাম্বার দিয়ে দেন। ডোনারের সাথে যোগাযোগ করি এবং তিনি জানান রক্তদানের জন্য সকাল থেকে অপেক্ষা করছিলেন। কেউ কল দেয় নি তাকে। অত:পর তাকে আহ্বান জানানো হলে কিছু সময়ের মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্লাড ব্যাংকে এসে উপস্থিত হোন। এরপর দ্রুত সময়ের মধ্যে রক্তদান করে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন।
যারা বিভিন্ন সংগঠনের দ্বায়িতে আছে বিনীত অনুরোধ জানাই, যদি রক্তদাতার তথ্য দিয়ে থাকা হয়। দয়া করে দ্বায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন। আপনার অবহেলা বা আপনার মিথ্যে একটি রোগীর বড় ক্ষতি বা প্রাণনাশের কারণ হতে পারে।
রক্তদাতা সংগ্রহ করে দেওয়ায় ধন্যবাদ জানাই ফিরোজ ভাইকে। পাশাপাশি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি রক্তদাতা বইপ্লব হোসেন ভাইয়ের প্রতি। আল্লাহ পাক আপনাকে এই দানের উত্তম প্রতিদান উভয় জাহানে দান করুন।
বিপ্লব হোসেন ভাইয়ের পরবর্তী রক্তদানের সময় হবে ২০-০৫-২৩ তারিখে।