করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে সারা বিশ্বে। এরই মধ্যেই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের ১০৮টি দেশে ছড়িয়েছে। তবে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ওমিক্রনের উপস্থিতি থাকতে পারে বলে ধারণা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।করোনাভাইরাসের মধ্যে ঘটেছে অনেকগুলো মিউটেশন। অর্থাৎ ভাইরাস নিজেকে প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে। আর এই বদল হচ্ছে ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনে আর এই বদলে যাওয়া ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আরও বেশি সংক্রামক বলেই ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। তাহলে ওমিক্রন থেকে বাঁচতে কী করণীয়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাথমিকভাবে ৭টি অভ্যাস মেনে চলা খুবই জরুরী। যা আমাদের করোনা বা ফ্লু জাতীয় রোগ থেকে নিরাপদ থাকতে ভূমিকা রাখতে পারে। তাহলে হয়তো করোনা বা ওমিক্রন থেকে রেহাই মিলাতে পারে- শরীর সুস্থ রাখতে যেমন শরীরচর্চার প্রয়োজন ঠিক তেমনই বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পেতেও নিয়মিত শরীরচর্চা চালিয়ে যেতে হবে। শরীরচর্চার মাধ্যমে ইমিউনিটি বাড়ে। জিম, মাঠ,বাসা যেখানে খুশি ব্যায়াম করুন। প্রয়োজনে পায়ে হেঁটে চলাফেরা করুন। ব্যায়াম করতে সমস্যা হলে জগিং করুন বা হাঁটুন ৩০ মিনিট। সম্ভব হলে সাঁতার কাটুন। সবারই জানা আছে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার কতটা জরুরী। কারণ এই ধরনের খাবার আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকরী । তাই দৈনিক পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রাখুন খাবারে। লেবু, কমলা, মাল্টা, আমড়া, আমলকিসহ টক জাতীয় ফলে থাকে ভালো পরিমাণে ভিটামিন-সি। করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমতেই অনেকেই ব্যক্তিগত সুরক্ষার বিষয়টি ভুলতে চলেছেন বা এই রোগটিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। যা ওমিক্রন সংক্রমণে আক্রান্ত বা বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। তাই নিয়মিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। সবচেয়ে ভালো হয় বাহির থেকে এসে বা কোন কিছু স্পর্শ করার পরে অন্তত ৩০ সেকেন্ড সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিলে। তবে যেহেতু এখন শীতের সময় তাই হাত ধুতে কষ্ট হলে ঘনঘন স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। শীতের এ সময় সবাই কমবেশি সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে থাকি। কে সাধারণ সর্দি-কাশি আর কে ওমিক্রনে আক্রান্ত তা নিশ্চয়ই আপনি টের পাবেন না ! তাই সুরক্ষিত থাকতে অন্তত মাস্ক পড়ুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা থেকে বাঁচতে হলে মাস্কই হলো প্রধান হাতিয়ার। তাই সব সময় মাস্ক পড়ুন। বিশেষ করে ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। ওমিক্রন সংক্রমণ থেকে বাঁচতে অবশ্যই শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন। ঠিক যেমনটি করোনার শুরুর সময় থেকেই শারীরিক দূরত্ব রাখার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তাই বাজার, বাস, ট্রেনে কিংবা ভিড় এলাকায় চলাফেরার ক্ষেত্রে সাবধান থাকুন। পারতপক্ষে যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলুন। করোনার টিকা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। টিকা রোগ আটকাতে না পারলেও রোগের ঘাতক রূপ থেকে বাঁচাতে পারে। তাই টিকা আবশ্যক। যদি শরীরে এমন কোন রোগ না থাকে যা টিকার কারণে বৃদ্ধি বা জীবননাশের শঙ্কা তৈরি না করে তবে টিকা গ্রহণ করুন। যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারা বিশেষ সতর্ক থাকুন। যেমন- ডায়াবেটিস, ক্যানসার, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা বা বিশেষ এলার্জিতে যারা ভুগছেন তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খান ও নিয়মমাফিক চলুন।আসুন, নিয়ম মেনে চলাচল করি। নিজে সুস্থ থাকি অন্যকেও সুস্থ রাখি।