রুমেল আমি রক্ত দিয়েছি এক বছরের উপরে হয়ে গেছে। আমি যাস্ট রক্ত দিব। তুই আমার রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা কর। কাল রক্ত দিয়ে আমি বাড়ি যাবো। কখন কোথায় আসবো বল। কথাগুলো বলছিলেন রক্তদাতা সীমা আপা। গতকাল বিকেলে অফিস শেষে সিএন্ডবি মোড়ে এসে প্রায় ৫০ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিল ফোনে না পেয়ে। তবুও রক্তদান না করে যাবে না বলে মনস্থির করেন তিনি।অতপর উপস্থিত হলে রক্তদান করেন সন্ধ্যার দিকে।আমাদের প্রতিটা মানুষের মানষিকতা যদি এমন হয় তাহলে এদেশে রক্তের অভাবে হয়তো কোন প্রাণ ঝরে পড়বে না। আসুন প্রাণ বাঁচানোর যুদ্ধে নামি। রক্তদানের মাধ্যমে অসহায় রোগীর পাশে থাকি। আমরা অনেকেই মানসিক তৃপ্তি পেতে চাই। রক্তদান করে একবার রোগীর মুখের দিকে তাকাবেন। তাহলে দেখতে পাবেন আপনার খুঁজতে থাকা তৃপ্তি রোগের মুখ থেকে আপনার অন্তরে চলে এসেছে। রক্তদান করার পরে রোগীর দোয়া বা রোগীর মুখের হাসিটা হয় নির্ভেজাল। এ হাসিতে বা এ দোয়াতে থাকে না কোন চাহিদা।
নিজের প্রয়োজনেও আমরা চার মাস পরপর বা কমপক্ষে চার মাস পরে রক্তদান করতে পারি। এতে করে নিজের শরীরে গুরুত্বপূর্ণ কিছু রোগের জীবাণু আছে কি না, সে বিষয়েও নিশ্চিত হতে পারবো। আবার ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের মত বড় রোগের ঝুঁকি কমাতেও আমাদের রক্তদান করা উচিত। কারণ রক্তদানের ফলে আমাদের শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায়। আবার নতুন রক্ত তৈরি হওয়ার সাথে সাথে নতুন কোষও তৈরি হতে থাকে। এতে করে ক্যান্সার, কিডনির সমস্যা, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের মত বড় বড় রোগের ঝুঁকি কমে যায়।
–Rumel Rahman