পিরিয়ড সচেতনতা ও পরামর্শ।

**পিরিয়ড **

সতর্কতা , সাবধানতা ও সচেতনতাঃ

প্রথমেই গুরুত্বপূর্ণ ৩টি আহ্বান জানিয়ে আজকের আলোচনা শুরু করছি।

এক.

অনেক বোন পিরিয়ডের সময় স্যানিটারি প্যাডের সাথে টিস্যু পেপার ব্যবহার করেন। ভুলেই এই কাজটি করবেন না। এই কাজটি আপনার প্রাইভেট অঙ্গকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করে দিতে পারে। এমনকি খুব দ্রুত আপনাকে ক্যান্সারে পতিত করে দিতে সক্ষম এই জিনিসটি।

দুই.

৬ ঘন্টার বেশি একটি প্যাড ব্যবহার করবেন না। প্যাডে থাকা জেল অতিরিক্ত সময়ে আপনার জন্য ইনফেকশন এমনকি ক্যান্সারের বাহক হিসেবে কাজ করে।

তিন.

পিরিয়ডের সময় নারীর মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। এসময় মুড সুইং নারীদের খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। এসময় নারীর ব্যবহার খারাপ হলে কষ্ট পাবেন না বা তাঁকে কষ্ট দিবেন না। তার সাথে ভালো ব্যবহার করুন এবং পর্যাপ্ত সময় দেন।

মেয়েদের সাধারণত ২১ থেকে ৩৫ দিন পরপর পিরিয়ড কাল হয়ে থাকে। এসময় প্রতিটি পিরিয়ডেই নির্দিষ্ট পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে। ব্যক্তিভেদে পিরিয়ডের ব্যাপ্তিকাল ৩ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত হতে পারে। পিরিয়ড়ের সময় যে সমস্যা হতে পারে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে বা পরে পিরিয়ড হতে থাকলে তাকে বলা হয় অনিয়মিত পিরিয়ড। পিরিয়ড নিয়ে রোগ বালাই এর শেষ নেই । অসচেতনতা, অজ্ঞতা বা লজ্জার কারণে অনেকেই ইনফেকশন বা নানা সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকে।এই আর্টিকেলে আমি মূলত মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা রক্তপাত নিয়ে লেখার চেষ্টা করছি । সাথে এই অবস্থায় করণীয় ও বর্জনীয় কিছু বিষয় নিয়েও আলোচনা করবো। আপনার যদি এসকল সমস্যা থেকে থাকে তাহলে দেরি না করে সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করার বিষয়ে সচেতন করাটাই আমার আজকের এই লেখার উদ্দেশ্য।

২১ দিনের কম সময়ে অথবা ৩৫ দিনের বেশি সময়ে রক্তক্ষরণ হওয়া অথবা ৭ দিনের বেশি সময় ধরে রক্তক্ষরণ হলে নারীর কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়া উচিত। পিরিয়ডের তাথে বয়স অনেক বড় একটা ব্যাপার হিসেবে কাজ করে। পিরিয়ড বা মাসিক শুরুর এবং শেষের সময়টাতে মূলত সমস্যাগুলো বেশি হয়। আমাদের দেশে ১২/১৩ বছর বয়সেই মেয়েদের প্রথম পিরিয়ড শুরু হয়। আর শেষ বা মেনোপজ এর বয়স সাধারণত ৪৫ থেকে ৫০ বছর।

তাহলে আসুন জেনে নেই এই সময়ে করণীয় ও বর্জনীয় কাজ ও খাবারসহ অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে।

মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের লক্ষণসমূহঃ

মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের লক্ষণ হচ্ছে-

১) মাসে ২/৩ বার মাসিক বা ঋতুস্রাব হওয়া

২) মাসিক এক নাগাড়ে অনেকদিন ধরে চলতে থাকা,

৩) শুরু হওয়ার ১/২ দিন পরই শেষ হয়ে যায় এবং কয়েকদিন পর আবার শুরু হওয়া,

৪) প্রতি ১ অথবা ২ ঘন্টায় কাপড় বা স্যানিটারি ন্যাপকিন একাধিক বার বদলাতে হলে,

৫) আগে নিয়মিত হলেও এখন লক্ষ্যনীয়ভাবে অনিয়মিত হওয়া,

৬) রাতের বেলা স্যানিটারি প্যাড বা কাপড় পরিবর্তনের প্রয়োজন হওয়া,

৭) মাসিকের রক্তের সাথে রক্তের বড় চাকা গেলে,

৮) অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে দৈনন্দিন জীবন যাত্রায় ব্যাঘাত ঘটা,

৯) ক্লান্ত, অবসাদ অনুভব অথবা শ্বাসকষ্ট হওয়া।

এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণসমূহঃ

 

অনেক কারণেই এমন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে পারে। যেমন-

১) শারীরিক ওজন বাড়লে বা কমলে অনিয়মিত পিরিয়ড হতে পারে। অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি থাইরয়েড রোগ এবং পলিস্টিক ওভারিয়ান রোগের সম্ভাবনা বাড়ায়। আবার শারীরিক ওজন কমে গেলে তা ক্যান্সার, যক্ষারোগ বাড়াতে পারে।

২) হরমোনের অসামঞ্জস্যতা বা ভারসাম্যহীনতা

৩) গর্ভনিরোধ বড়ি খাওয়ার ফলে অনিয়মিত পিরিয়ড

৪) গর্ভধারণজনিত অনিয়মিত পিরিয়ড

৫) মানসিক চাপ,

৬) জরায়ুর টিউমারের প্রভাব,

৭) জরায়ুতে পলিপ থাকলে,

৮) এডেনোমায়োসিস (Adenomyosis)

৯) জরায়ুতে কপার টি (IUCD) ধারণ করলে (জন্ম নিয়ন্ত্রণকারী ডিভাইস)।

১০) জরায়ু, ডিম্বাশয় অথবা জরায়ু মুখে ক্যান্সার হলে,

১১) বংশগতভাবে রক্তের রোগের ইতিহাস থাকলে,

১২) এন্ডোমেট্রিওসিস (Endometriosis) রোগের কারণে,

১৩) ওষুধের সাইড ইফেক্ট থেকেও হতে পারে।

যে সকল খাবার নিষিদ্ধঃ

 

★ দুধ, চিজ বা দইঃ

পিরিয়ডের সময় দুধ, চিজ বা দইয়ের ( মিষ্টি দই) মতো ডেইরি প্রডাক্ট বেশি মাত্রায় খেলে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ এত পরিমাণে বেড়ে যায় যে শারীরিক কষ্টের মাত্রা ছাড়াতে সময় লাগে না। তাই এসময় দুধ এবং দুধ থেকে বানানো খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা খুবই জরুরী।

★ ফ্রিজের পানিঃ

এসময় ফ্রিজের ঠান্ডা পানি জরায়ুতে একটি প্রাচীর তৈরি করে মাসিকের রক্তের পর্যাপ্ত প্রবাহ বন্ধ করে দেয়। এতে পর্যাপ্ত রক্ত বের হতে না পেরে জরায়ুতেই জমা থেকে যায়। ফলে পরবর্তীতে শরীর ফুলে যাওয়া, জরায়ু ইনফেকশন এবং বন্ধ্যাত্বর মত সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই এই সময় ফ্রিজের পানি সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলতে হবে।

★ জাঙ্ক ফুডঃ

জাঙ্ক ফুড খাওয়া শরীরের পক্ষে ভাল নয়। আর এই সময় এসব খাবার খেলে তো আরও বিপদ! পিরিয়ডের সময় ফ্রায়েড খাবার খেলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হয়।

★ লবণঃ

পিরিয়ডের সময় বেশি মাত্রায় লবণ রয়েছে এমন খাবার পরিহার করুন। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই জাতীয় পদে বেশি পরিমাণে লবণ থাকে। এসময় বেশি লবণ জাতীয় খাবার খেলে শরীরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে, যার প্রভাবে পিরিয়ডকালীন কষ্ট আরও বহুগুণে বেড়ে যায়। তাই মাসের এই নির্দিষ্ট সময়ে যতটা সম্ভব কম পরিমাণে লবণ খাবেন।

★ শসাঃ

পিরিয়ডের সময় শসা খেলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। শসায় উপস্থিত কিছু উপাদান এই সময় শরীরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। যার মধ্যে থাকারস অন্যতম।

★ খালি পেটে না থাকাঃ

পিরিয়ডের সময় একেবারেই খালি পেটে থাকবেন না। এই সময় মাত্রতিরিক্ত পরিমাণে এনার্জি লস হয়। তাই এই ঘাটতি পূরণের ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করাটা অত্যন্ত জরুরী।

★ কোল্ড ড্রিঙ্কঃ

পিরিয়ডের সময় কোল্ড ড্রিঙ্ক পান করা একেবারে নিষিদ্ধ। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, এই সময় এই ধরনের পানীয় খেলে ইউটেরাইন ওয়ালে রক্ত জমা থেকে যায়। এমনটা হতে থাকলে ৫-১০ বছর পরে নারীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণে বেড়ে যায়।

★ তেঁতুলঃ

তেঁতুল এই সময় রক্তকে পাতলা করে দিয়ে থাকে। ফলে অতিরিক্ত চলে যায়। এজন্য এসময় তেঁতুল খাওয়া থেকে বিরত থাকাই বুদ্ধিমতির কাজ।

যে সকল কাজ করবেন নাঃ

 

শরীরচর্চাঃ

এই সময় অল্প বিস্তর শরীরচর্চা চলিয়ে যেতে পারে। কিন্তু ইনটেন্স ওয়ার্কআউট করা একেবারেই চলবে না। অর্থাৎ ভারী কাজ করবেন না। আর যদি পেটে এবং পিঠে ব্যথা থাকে, তাহলে একেবারেই শরীরচর্চা করা যাবে না। বিশ্রাম এই সময় খুবই জরুরী।

রাত না জাগাঃ

 

এই সময় রাত জাগলে শরীরের কাজ করার ক্ষমতা একদমই কমে যায়। সেই সাথে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, ঘুম না হওয়ার কারণে শরীরের ক্লান্তিভাব এতটাই বেড়ে যায় যে, দৈনন্দিন সকল কাজ কর্মেও বাঁধা আসতে শুরু করে। তাই পিরিয়ডের সময় একেবারেই রাত জাগবেন না।

শ্যাম্পু না করাঃ

 

এই সময় মেয়েদের চুলের গোড়া খবই দুর্বল হয়ে যায়। শ্যাম্পু করলে বা শ্যাম্পু করার পরে চুল আচড়ালে চিল পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।

পেটে আঘাত না লাগাঃ

 

এই সময় পেটে আঘাত লাগানো যাবে না। সামান্য আঘাত অনেক বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। এমনকি আঘাতের ফলে নারীর বন্ধ্যাত্ব পর্যন্ত বরণ করার সম্ভাবনা থাকে।

নিজেকে এই সময় যতটা সম্ভব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন। কিছুক্ষণ পরপর পানি দিয়ে পরিষ্কার করবেন নিজের দেহকে। প্রাইভেট অঙ্গে কখনও সাবান ব্যবহার করবেন না। সাবানের ক্ষার প্রাইভেট অঙ্গের জন্য ক্ষতিকর। এ সময় এটি আরও বেশি ক্ষতি করে থাকে। ডেডিকেটেড কিছু প্রোডাক্ট পাওয়া যায়। পরিষ্কারের জন্য এসব ব্যবহার করুন।

দেহ ও মন সুস্থ রাখতে পিরিয়ডের সময় যেসব খাবার খাবেনঃ

 

★ আদা পানিঃ

পেটের ব্যথা কমানোর জন্য আদা পানি খুব ভালো একটি খাবার। পানিতে কিছু পরিমাণে আদা দিয়ে সেই পানি গরম করে চায়ের মত করে পান করলে ব্যথার উপশম হয়।

★ শাকসবজিঃ

পিরিয়ডের সময় শরীরকে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা দিতে সবুজ শাকসবজি খাওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে কচু শাক বেশি উপকারী। সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে আয়রন এবং ভিটামিন-বি ও উচ্চ ফাইবার। এই ফাইবার আপনার হজম প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করবে, যা পিরিয়ডকে সহনীয় করতে খুবই প্রয়োজন।

★ ফলমূলঃ

পিরিয়ড সম্পর্কিত হজমের সমস্যা সমাধানে তাজা ফলমূল বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আপনার পছন্দসই নানা ধরনের ফলমূল নিয়মিত খাবার টেবিলে রাখুন।

★ লাল মাংসঃ

পিরিয়ডের সময় লাল মাংস আপনার শরীরের জন্য বেশ প্রয়োজনীয়। লাল মাংস আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় আয়রন জোগায়, যা প্রতি মাসে আপনার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ পূরণে সহায়তা করে। আয়রনযুক্ত খাবার আপনাকে অনেক কঠিন রোগ থেকে রক্ষা করে থাকে।

★ বাদামঃ

পিরিয়ডের সময় বাদাম খাওয়া যেতে পারে।বাদাম শরীরের জন্য বেশ উপকারী।

 

★ টক দইঃ

পিরিয়ডে টক দই অনেকটাই আরাম দিতে পারে। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ক্যালশিয়াম। তাই টক দই পেশিতে টান লাগার সমস্যা দূর হওয়ার পাশাপাশি মানসিক অস্বস্তি কমাতে দারুণ কাজ করে থাকে।

 

★ ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবারঃ

ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ খাবারগুলো খাওয়ার অভ্যাসে এসময় অনেকটাই আরাম বোধ করতে পারেন আপনি। এর জন্য পিরিয়ড চলাকালীন খেতে পারেন সামুদ্রিক মাছ, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, তিসির তেল, চিয়া সিড, সয়াবিন ইত্যাদি।

 

★ ডাবের পানিঃ

এই সময় শরীরে পানির ভারসাম্য ঠিক থাকে না। দেখা দেয় পানির ঘাটতি। তাই প্রয়োজনীয় পানির অভাবে পেশিতে টান লাগার আশঙ্কাও অনেকটা বেড়ে যায়। পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে ডাবের পানি, মৌসুমি ফল এসব খাওয়ার অভ্যাস করুন। তবে নারিকেল বা নারিকেলের পানি খাবেন না বা পান করবেন না।

★ ডালঃ

ডালে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও জিঙ্ক থাকায় এই খাবার পিরিয়ড চলাকালীন ব্যথা দূর করতে বেশ কার্যকরী খাবার। তাই ব্যথা নিরাময়ে এই সময় ডালকে ডায়েট লিস্টে রাখবেন।

★ কলাঃ

পিরিয়ডে কলা একটি আদর্শ খাবারের নাম। এই খাবারটি ভিটামিন বি-৬ ও পটাশিয়াম দ্বারা ভরপুর। তাই দেহে খনিজ পদার্থের ভারসাম্য বজায় রাখতে নিয়মিত কলা খাওয়ার অভ্যাস করুন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পিরিয়ড চলাকালীন এসব অস্বস্তি কাটাতে প্রয়োজন হয় পর্যাপ্ত পুষ্টির। আর এর জন্য এই সময় আপনাকে খেতে হবে বিশেষ কিছু খাবার।

পেটে যদি অতিরিক্ত ব্যথা থাকে তাহলে হট ব্যাগের মাধ্যমে গরম পানির সেক দিবেন। এটি ব্যথা কমাতে বেশ কার্যকরী।

 

মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ নির্ণয়ে প্রয়োজন যে সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষাঃ

 

১) রোগের ইতিহাস এবং মাসিক চক্র জানা,
২) রক্ত গ্রুপিং ও অন্যান্য পরীক্ষা করা,
৩) আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান,
৪) এন্ডোমেটরিয়াল বায়োপসি,
৫) প্যাপ টেস্ট,
৬) ডি এন্ড সি।

 

মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে চিকিৎসা কিঃ

 

রোগ নির্ণয়ের উপর ভিত্তি করে সাধারণত চিকিৎসা দেয়া হয়। এটা সার্জিক্যাল বা নন সার্জিক্যাল হতে পারে।

আপনার করণীয়-

১) নিয়মিত আপনার পিরিয়ড শুরুর দিনটির হিসাব রাখুন।  ক্যালেন্ডারে দাগ দিয়ে রাখতে পারেন,

২) কতদিন পর্যন্ত থাকে, তার হিসাব রাখুন,

৩) কতগুলো প্যাড পরিবর্তন করতে হয় তার হিসাব রাখুন,

৪) কোন শারীরিক দুর্বলতা বা অন্য কোন সমস্যা হলে সে বিষয়ে চিকিৎসককে জানান,

৫) অতিরিক্ত রক্তপাত হলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম করতে হবে,

৬) অ্যাসপিরিন ঔষধ সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে,

৭) সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন,

লক্ষণগুলো ছনিত করে রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে তার প্রতিকার করুন এবং সুস্থ ও রোগহীন জীবন যাপন করা সম্ভব।

আসুন লজ্জা নয়, সচেতনতা ছড়াই।

পিরিয়ড নারীর লজ্জা নয় গর্ব।।

 

– Rumel Rahman 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *