নবীন বরণের বানী।

হে নবাগত সাথীরা,

তোমাদের শুভাগমনে নাও আমাদের শুভ্রাস্নাত প্রীতি ও প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। শিক্ষাজীবনে এক ধাপ উত্তীর্ণ হয়ে জীবন কুসুমকে প্রস্ফুটিত করার দুর্বার বাসনায় তোমরা এসেছ স্বপ্নীল যাত্রাপথের অন্যতম কেন্দ্র অত্র মহাবিদ্যালয়ের শান্ত-শ্যামল চত্বরে। জয়ী হোক তোমাদের এ শুভাগমন। তোমাদের সুললিত পদচারণায় সার্থক হোক এ মহান অঙ্গন। তোমাদের এ শুভাগমন আমাদের ত্বরান্বিত করবে, এটাই আমাদের স্বাভাবিক চাওয়া। তোমরা আমাদের যোগ্যতম উত্তরসূরি হবে এবং যথার্থ অধ্যবসায়ের মাধ্যমে এ বিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করবে জাতীয় আঙ্গন এটাই চাই আমাদের মন থেকে।

হে স্বজনরা,

হৃদয়ের সমস্ত অর্ঘ্য দিয়ে তোমাদের বরণ করতে ইচ্ছে হয়, কিন্তু সাধ্য আমাদের সীমিত। তাই কবিতার নান্দনিক সে ভাষায় হৃদয়াকুতি প্রকাশ করতে চাই এভাবে-

‘নেই আয়োজন নেই আভরণ
কি দিয়ে তোমাদের করিব বরণ,
পেতেছি তাই তো হৃদয়ে আসন
তোমাদের বরিব বলে।

জ্ঞান সাম্রাজ্যের দুর্বার গতিবেগ প্রবাহিত করে উজ্জীবিত ভাব ধারায় জীবনকে সুন্দর সুশোভিত করে তোলার গুরুদ্বায়িত্ব তোমাদের কাঁধে। আজ আমরা দাঁড়িয়ে
বিদায়ের বেলাভূমিতে। তোমাদের জীবনের দৃশ্যপট আজ নবতর প্রাঙ্গণে উপনীত। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য্যের ভাষার সাথে আজ নিজের ভাষা মিলিয়ে বলি–

‘তোমরা এসেছ, ভেঙেছো অন্ধকার

তোমরা এসেছ ভয় করি নাকো আর,
পায়ের স্পর্শে মেঘ কেটে যাবে
আসিবে উজ্জ্বল রোদ্দুর যা
ছড়িয়ে পড়বে দূর বহুদূর।’

তোমাদের অনাগত দিনগুলো সুন্দর, মধুময় ও প্রাণ প্রাচুর্যে সমৃদ্ধ হয় উঠুক, এ প্রার্থনা করছি। তোমরা সুখী হও, তোমাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হোক।

শুধু পড়ালেখায় নয়, আচার-আচরণে তোমাদের ব্যবহারে, খেলাধুলায় আর তোমাদের মানবতায় শুধু এ প্রাঙ্গণ নয় তোমাদের পরিবার হোক গর্বিত। তোমাদের ব্যবহার আর তোমাদের জীবন-যাপন যেন এ পবিত্র প্রাঙ্গণ আর তোমার পরিবারকে কুলুষিত না করে এ বিষয়ে তোমাদের প্রচেষ্টা হোক সীমাহীন এটাই আমাদের বিশেষ চাওয়া।

তোমাদেরই পূর্বসূরি-
বঙ্গবন্ধু কলেজ, রাজশাহী।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *