পেটে একপাশে বাচ্চা একপাশে টিউমার। টিউমারের আকৃতি ৮.৩ cm. হয়তো ক্যান্সারের দিকে টার্ণ নিয়ে নিতে পারে। কিন্তু মাতৃত্বের স্বাদ হয়তো মৃত্যুর কাছে অতি তুচ্ছ। একটি বাচ্চার জন্য এমন ঝুঁকিতে আজ মা। টিউমার অনেক বড় হওয়ায় ৬ ব্যাগ রক্ত প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ডাক্তার। সেই প্রয়োজন পূরণে এক ব্যাগ ও পজেটিভ রক্তদান করলেন প্রতীক ভাই।নিজে হলে সচেতন, রাখলে রক্তদাতা,বাঁচতে পারে মা ও শিশু,থাকবে নিশ্চয়তা।
ব্লাড ব্যাংকে রক্তদান করলে ডোনার কার্ড বা রিপোর্ট
নেওয়া। সরকারী হাসপাতাল থেকে কোন প্রকার ডোনার কার্ড দেয়া হয় না। তবে রাতের বেলা রক্তদান করলে
তাদের থেকে একটি রিপোর্ট প্রিন্ট করে নিবেন
প্লিজ। এর ফলে পুলিশি হয়রানি থেকে রক্ষা
পাবেন।
স্কিনিং টেষ্ট এর রিপোর্টের কপি নেয়া। এই
রিপোর্টের কপি চেয়ে নিতে হবে।
অনেক সময় দেখা যায়- সুঁই ঢোকানোর
স্থানসহ আশেপাশে চামড়ার নিচের অংশ কালচে
রং বা দাগ হয়ে যায়। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এক-দুই সপ্তাহ পরে ঠিক হয়ে যাবে। কোন প্রকার মালিশ/
ম্যাসেজ করবেন না প্লিজ।
রক্তদানের কার্যক্রম বেশি বেশি প্রচার করা,
এতে অন্যরা উৎসাহিত হবে।
Whole Blood দিলে কমপক্ষে ৪ মাস পর
পুনরায় রক্তদান করা। অনেকেই আবেগের তারনায় ২
মাস বা ৩ মাস পরেও রক্ত দিয়ে দেয়। এর ফলে নিজেরও ক্ষতি হয় এবং রোগীরও আহামরি উপকার হয় না। কারণ- আমাদের শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণে হিমোগ্লোবিনের সৃষ্টি
হয় না বা লোহিত রক্ত কনিকা পূর্ণতা পায় না চার মাসের আগে এই অল্প সময়ে। নিয়ম না মেনে ৪ মাসের আগে রক্তদান করলে রক্তদাতারই রক্ত-স্বল্পতা দেখা দিতে পারে এবং ব্যাক-পেইন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেকেই ৩ মাস পর পর রক্তদান করে থাকেন। এটিও ঠিক না। ৩ মাসে আমাদের শরীরে রক্তের ঘাটতি পূরণ হলেও রক্তের উপাদানগুলো পূরণ হতে প্রায় ৪ মাস সময় লাগে। তাই ৪ মাস পরপর রক্তদান করলে রক্ত গ্রহীতা রক্তের পরিপূর্ণ উপাদান পায় এবং ডোনারেরও কোন অসুবিধা বা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। আর প্লাটিলেট দান করলে ১৫ দিন পরপর দান করতে পারবেন। তবে এজন্য আপনাকে সুসাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। যেদিন রক্তদান করেছেন বা করবেন, সেইতা রিখটি নোট করে রাখুন। এর ফলে পরবর্তীরক্তদানের তারিখ কবে হবে তা বের করে নিতে পারবেন।
***** রক্তদানে কোন প্রকার ক্ষতি নেই। বরং রোগীর সুস্থতার পাশাপাশি নিজের সুস্থতাও নিশ্চিত করা যায়। তবে নিয়ম মেনে রক্তদান না করলে ক্ষতি আছে। এজন্য সবাইকে
অনুরোধ করবো- নিয়মগুলো মেনে চলুন।
roktobondhon.com