আগুনে পোড়া রোগী: চিকিৎসা, করণীয় ও বর্জনীয় কাজ কি কি

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করেই আজকের আলোচনা শুরু করছি।

★ আগুনে পোড়া রোগীর জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হচ্ছে মানুষের সংস্পর্শ। আমাদের ত্বক অনেক ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া বা জীবাণু প্রতিরোধ করতে পারলেও আগুনে পোড়া রোগীর শরীর ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণুকে প্রতিরোধ করতে পারে না। কারণ, আগুন সর্ব প্রথম রোগীদের ত্বকের প্রথম ও দ্বিতীয় স্তর পুড়িয়ে নষ্ট করে দেয়।
এতে করে আমাদের সাথে আসা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু খুব সহজেই রোগীর সংস্পর্শে এসে রোগীর কয়েকগুণ ক্ষতি করে ফেলে। আর এসব জীবাণু শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে অভ্যন্তরীণ অঙ্গ যেমন, ফুসফুস, হার্ট, কিডনিকে অকেজো করে দেয়। এর ফলে অতি দ্রুত মারা যায় রোগীরা।

তাই দয়া করে আগুনে পোড়া রোগীর আশেপাশে যাওয়ার চেষ্টা না করাটাই উত্তম কাজ। রোগী সিসিইউ, আইসিইউ বা ওয়ার্ডে থাকলে বাহিরে অবস্থান করুন এবং ডাক্তার কোন মেডিসিন বা অন্য কিছু সাজেস্ট করলে বাহিরে থেকে অতি দ্রুত কিনে এনে নার্স বা ডাক্তারের হাতে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করুন। যদি একান্তই রোগীর কাছে যেতে হয় রোগীর সকল নিরাপত্তা নিশ্চিত করে রোগীর কাছে গিয়ে কাজ শেষ করে অতি দ্রুত সেখান থেকে চলে আসুন।

দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশে ট্র‍্যাজেডি হলে দেখা যায় হাসপাতালে উৎসুক জনতার ভীড় জমে যায়। আবার অনেক স্বেচ্ছাসেবী বা পরিবার স্বজনরাও রোগীর আশেপাশে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করে রোগীর পাশে। রোগীর ভালো করতে গিয়ে নিজের অজান্তেই রোগীকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেই আমরা আমাদের এই অজ্ঞাতার কারণে । 😥 রোগীর প্রয়োজনে ওয়ার্ডের বাহিরে অবস্থান করুন। রক্তের প্রয়োজন পূরণে ব্লাড ব্যাংকে অবস্থান করুণ ওয়ার্ডে বা রোগীর আশেপাশে নয়।

ইদানীং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা শোনা বা দেখা যাচ্ছে অনেক বেশি। দগ্ধ অনেককে হাসপাতালে নেওয়ার পরও দেখা যায় দীর্ঘসময় তারা ঝুঁকিতে থাকেন। অন্য সব দুর্ঘটনায় রোগীর অবস্থা দ্রুত আঁচ করা গেলেও আগুনে পোড়া রোগীদের ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হয় না।

বেশি ঝুঁকিঃ

বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরের অন্যান্য অংশ অক্ষত থাকলেও যদি কারও শুধু শ্বাসনালী আগুনে দগ্ধ হয়। তাহলে সরাসরি তা ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। শ্বাসনালী পোড়া সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। শ্বাসনালী পুড়লে ৯৭ ভাগ রোগীই মারা যায়। এর কারণ, আমরা যে শ্বাস নেই তা শ্বাসনালী হয়ে ফুসফুসে প্রবেশ করে। বাতাসে থাকা ছোট ছোট উপাদানসমূহ চামড়া বা ত্বকে ঢুকতে পারে না। কিন্তু চামড়া পুড়ে গেলে তা সহজেই ফুসফুসে ঢুকে যায়। এতে শরীরের অন্যান্য অংশে খুবই দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে যায়।

শরীরের কতটুকু পুড়লে বিপদজনকঃ

শিশুদের শরীরের ১০ শতাংশ এবং প্রাপ্তবয়ষ্কদের ১৫ শতাংশ অংশ পুড়লেই ডাক্তারগণ সেই রোগীকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। শ্বাসনালী অক্ষত থাকার পরেও যদি কোন ব্যক্তির শরীর ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়, তাহলে সেই  বাঁচানো সম্ভব হয় বা সম্ভাবনা থাকে। তবে এই সম্ভাবনা নির্ভর করে রোগীর বয়স ও সুস্থতার উপর। বয়ষ্ক,
ডায়াবেটিস, অ্যাজমা, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য আগুনে পোড়া বিপদজনক। এসব রোগে আক্রান্ত হলে শরীরে এমনিতেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। আর এসকল রোগে আক্রান্ত রোগী দগ্ধ হয়ে পোড়া কম হলেও মৃত্যুর শঙ্কা অনেক বেশি থাকে।

শরীরের ১৫ শতাংশের বেশি পুড়লেই রোগীর অবস্থা খারাপের দিকে যেতে শুরু করে। ৩০ শতাংশের বেশি হলেই সেই সকল রোগীকে এক্সটেনসিভ ট্রিটমেন্ট তিতে হয়। এছাড়া শরীর ৪০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেলে সে রোগীকে শঙ্কটাপন্ন বলে ধরে নিতে হয়। ৪০ শতাংশের বেশি পুড়লে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে যতটা সম্ভব চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে এক্ষেত্রে রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা অনেক কম।

কতভাবে পুড়েঃ

বিদ্যুৎ থেকে সৃষ্ট আগুন,গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, গ্যাস থেকে লাগা আগুন এবং রাসায়নিক বিস্ফোরণ ঘটনায় দগ্ধ হয়ে সবচেয়ে বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। একসময় এসিডে ঝলসানো রোগী পাওয়া গেলেও প্রশাসন ও সরকারের কঠোর ব্যবস্থাপনায় এর হার শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে।

গরম পানিতে শরীরের কোন অংশ পুড়ে গেলে তা চিকিৎসার মাধ্যমে সারিয়ে তোলা সম্ভব। তবে সেরে উঠতে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা দিতে ও নিতে হবে। এছাড়া অন্যান্য আগুনের ঘটনাতে তৈরি ক্ষত হতেও দীর্ঘ সময় লাগে। প্রতিনিয়ত চিকিৎকের ফলোআপে থাকতে হবে। তবে আগুনে পোড়া থেকে সৃষ্ট ক্ষত কখনই পুরোপুরি যায় না। দাগ থেকে যায় এবং ত্বকে চুলকানি বা অন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আগুনে পুড়লে কি করবেন, কি করবেন নাঃ

 

শরীরে আগুন লাগলে যত দ্রুত সম্ভব পরিষ্কার ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে ক্ষতস্থানে। যত বেশি পানি ঢালা হবে ক্ষতির পরিমাণ ততটাই কমানো সম্ভব হবে। আগুনে পোড়া রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা একটাই, আর সেটা হচ্ছে পানি। পানি ঢালার পরে খুব দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে আনতে হবে।

আগুনে পুড়ে গেলে ক্ষতস্থানে পানি ব্যতীত অন্য কিছু লাগানো যাবে না। অনেকে টুথপেস্ট, লবণ, ডিমের সাদা অংশ বা পেঁয়াজের রসের জন্য ছোটাছুটি করেন বা পোড়া অংশে লাগিয়ে ফেলেন। এগুলো আগুনে পোড়া রোগীদের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। এগুলো রোগীর উপকারের পরিবর্তে সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পরে এগুলো পরিষ্কার করতে অনেক সময় নষ্ট হয়। এতে শরীরে মেডিসিন প্রয়োগ করতে দেরি হয়ে যায়। পেস্ট,ডিমের সাদা অংশ বা অন্যান্য উপাদানগুলো জমাট বেঁধে গেলে পরিষ্কার করার সময় এসবের সাথে রোগীর চামড়াও উঠে আসে। এতে ক্ষতের পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। যদি রোগীর মুখ বা চোখ পুড়ে যায়, তবে রোগীকে যতক্ষণ সম্ভব সোজা করে বসিয়ে রাখতে হবে। এমনটা করা হলে মুখে বা চোখে ফোসকা পড়া বা ফুলে যাওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।

তবে ধরনভেদে আগুনে পোড়া রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসায় কিছুটা ভিন্নতা আছে। বাড়িঘরে আগুন লেগে পুড়ে গেলে তাকে বলা হয় থার্মাল বার্ন। এসিডে বা রাসায়নিক দ্রব্যে পুড়ে গেলে বলা হয় কেমিক্যাল বার্ন আর বৈদ্যুতিক শকে পুড়ে গেলে তাকে ইলেকট্রিক্যাল বার্ন বলা হয়।

== থার্মাল বার্নে পুড়ে যাওয়া ব্যক্তিকে অতি দ্রুত উৎস থেকে দূরে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে দৌড়াতে বা হাঁটতে দেওয়া যাবে না। দৌড় দিলে বা হাঁটলে আগুনের মাত্রা বেড়ে যাবে। এতে শরীরে বিভিন্ন অংশে আগুন ছড়িয়ে পড়বে অতি দ্রুত। রোগীকে মাটিতে বা মেঝেতে শুইয়ে দিতে হবে বা নিজে থেকে শুয়ে যেতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে, বেশি পোড়া অংশ যেন ওপরের দিকে থাকে। মাটিতে গড়াগড়ি খাওয়া যাবে না। আমাদের সকলের ধারণা, মাটিতে গড়াগড়ি খেলে আগুন নিভে যায়। কিন্তু এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। এতে শরীরের যে অংশ পোড়েনি, সে অংশও পুড়ে যেতে পারে। আবার মাটিতে থাকা ময়লা পোড়া স্থানে লেগে যাবে। ফলে ইনফেকশন তৈরি হতে পারে অতি দ্রুত। এক্ষেত্রে রোগীর শরীরে পানি দিয়ে বা পানি না থাকলে আশেপাশে হাতের কাছে পরিষ্কার কম্বল বা কাঁথা থাকলে রোগীর পুরো শরীরে দিয়ে দেওয়া যাবে এবং আগুন নিভে যাওয়া মাত্রই কম্বল বা কাঁথা সরিয়ে নিতে হবে। রোগী কথা বলতে না পারলে বা অজ্ঞান হয়ে গেলে মাটিতে চিৎ করে শুইয়ে দিতে হবে। দুই পা ওপরে তুলে ধরে ওই স্থান থেকে নিরাপদে সরিয়ে আনতে হবে। যদি আগুনের সঙ্গে প্রচুর ধোঁয়া থাকে তাহলে যতটা সম্ভব নিচু হয়ে চলতে হবে। নিচের অংশে ধোঁয়া কম থাকে এবং অক্সিজেন থাকে বেশি। ফলে শ্বাস নেওয়া যাবে। ধোঁয়া, গরম বাতাস সবসময় ঊর্ধ্বমুখী থাকে। শরীরের পোড়া অংশে তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে। ট্যাপের পাইপ দিয়েও পানি ঢালা যাবে। যদি পানি না পাওয়া যায় তবে অন্য কোন অদাহ্য পদার্থ যেমন দুধ, কোমল পানীয় ব্যবহার করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন কোমল পানীয়তে অ্যালকোহল না থাকে।
ভারী সুতির কাপড় দিয়ে শরীর মুড়িয়ে রাখতে পারেন। ঠান্ডা থাকবে এমনটা ভেবে কাদা বা মাটি, পোড়া জায়গায় লাগানো যাবে না। আগুনের উৎস থেকে রোগীকে অন্য স্থানে সরানোর পরে সাথে সাথে শরীরের সব কাপড়-চোপড়, জুতা, মোজা, বেল্ট, অলঙ্কার সবকিছু খুলে ফেলতে হবে।
যদি পানি না পাওয়া যায় তাহলে অ্যালোভেরা জেল, পেট্রোলিয়াম জেল ব্যবহার করা যায়। তবে মনে রাখতে হবে পানির ব্যবস্থা থাকলে এর বিকল্প অন্য কিছু ব্যবহার প্রয়োজন নেই। এসকল ক্ষেত্রে সর্বোত্তম বিষয় পানি-ই।

== কেমিক্যাল বার্নের ফলে নিজের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। দরকার হলে গ্লাভস, মাস্ক ও চোখের প্রোটেকশন ব্যবহার করতে হবে। জামা-কাপড়, অলঙ্কার বা শরীরে কোন ধাতব পদার্থ থাকলে দ্রুত খুলে ফেলতে হবে। পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থান কমপক্ষে ২০ মিনিট ধুয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। যত বেশি পানি দেওয়া যাবে রোগীর ক্ষতের পরিমাণ ততই কম হবে। যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে চলে আসতে হবে।

== ইলেকট্রিক্যাল বার্নের ফলে শরীরের মাংস, নার্ভ, রক্তনালি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বৈদ্যুতিক উৎস যত দ্রুত সম্ভব বন্ধ করে দিতে হবে। রোগীকে বিদ্যুৎ উৎস থেকে সরানোর পরে তার নড়াচড়া, পালস, শ্বাস-প্রশ্বাসের গতির প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। ইলেক্ট্রিক শকের কারণে রোগীর হার্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। হার্ট বন্ধ হয়ে গেলে CPR (কার্ডিওপালসনারি রিসাসিটেশন) দিতে হবে। অর্থাৎ রোগীর বুকের মাঝখানে দুই হাত দিয়ে চাপ দিতে হবে। মিনিট ৩০ বার। মুখ দিয়ে শ্বাস দিতে হবে মিনিট দুবার।

CPR Process.

রোগীকে অতি দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।

রোগীকে হাসপাতালে নেয়ার পূর্ব পর্যন্ত কিছু প্রাথমিক বিষয়ে লক্ষ্য রাখুনঃ

 

১) রোগীর শরীর  আর কোন ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে কি না  সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেমনঃ ইলেক্ট্রিক শকে উপর থেকে পড়ে গিয়ে হাড় ভেঙে গেছে কি না, আঘাতে কোথাও থেকে অতিরিক্ত রক্তপাত হচ্ছে কি না ইত্যাদি।

২) শরীরের পোড়া অংশে কোন প্রকার ময়লা, বালি বা সংক্রমণ জাতীয় কিছু লেগে আছে কি না  সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

৩) শরীরের সাথে পুড়ে যাওয়া বা লেগে থাকা কাপড় তোলার চেষ্টা করা যাবে না।

৪) রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া, কাশি দেয়া বা নড়াচড়া করছে কি না খেয়াল করতে হবে। রোগী যেন শকে চলে না যায় সেদিকে নজর রাখতে হবে। রোগী কথা বলা বা নড়াচড়া বন্ধ করে দিলে তাকে কথা বলানোর চেষ্টা করতে হবে বা শরীরে হালকা আঘাত করে জাগিয়ে রাখতে হবে ।

৫) শরীরে কোন ধরনের জুয়েলারি বা অলংকার থাকলে তা খুব সতর্কতার সহিত দ্রুত সরিয়ে ফেলুন।

৬) কোনভাবেই শরীরের অত্যধিক পুড়ে যাওয়া অংশে পানি লাগাবেন না। এতে শরীর তাপমাত্রা হারাবে অর্থাৎ, হাইপোথারমিয়া বা ব্লাড-প্রেশার কমে গিয়ে রোগী শকে চলে যাবে।

৭) শরীরের পোড়া অংশ উপরে তুলে (রোগীর হৃৎপিণ্ডের উচ্চতায়) রাখতে হবে। নিচু অবস্থানে রাখলে রক্ত চলাচল বেড়ে যাবে।

৮)পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে পোড়া অংশ হালকা ভাবে ঢেকে দিয়ে অতি দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে।

৯) হাসপাতালে অতিরিক্ত ভীড় করা যাবে না। রোগীর সংস্পর্শে না আসা রোগীর জন্যই ভালো ।

–Rumel Rahman

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *