আলহামদুলিল্লাহ। এই শীতের রাতে রক্তদান করে অসহায় রোগীর পাশে দাঁড়ালেন তুষার ভাই।
ব্লাড ব্যাংকে ও নেগেটিভ ডোনারকে ডোনেট করিয়ে বেরিয়ে আসার সময় একজন মহিলা আকুতির স্বরে জানান তার স্বামী থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত। অনেক দূর থেকে এসেছেন তারা। এক ব্যাগ রক্তও পায় নি। ডাক্তার দুই ব্যাগ রক্ত দিতে বলেছেন। এক ব্যাগও রক্ত পায়নি । ২ ব্যাগ রক্ত দেওয়ার পরে ডাক্তার টেস্ট করবে। অত:পর অপারেশন করা হবে রোগীর।
রোগীর বিস্তারিত তথ্য জেনে তুষার ভাইকে কল দিয়ে ভাইকে রক্তদানের আহ্বান জানাই। তুষার ভাই জানান দোকানে আছেন দোকান বন্ধ করে আসতে কিছুটা সময় লাগবে তার।
সমস্ত কাজ শেষ করে কিছুক্ষণ পরে ছুটে আসেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে।
এক ব্যাগ রক্তদান করে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন তিনি।
রক্তদানের সময় তিনি জানান কয়েক মাস আগে তার স্ত্রী গর্ভবতী ছিলেন। ডেলিভারির সময় আসলে ভর্তি করা হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। প্রথমে নরমালে প্রসব চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু নরমালে প্রসব করা সম্ভব হয় নি। ইমার্জেন্সি সিজার করা হয় শেষে। তখন রক্তদান করে এক্সচেঞ্জ করে নিয়েছিলেন রক্ত। রক্তদান করে স্ত্রীর উপকার হলেও সন্তানের উপকার হয় নি। মাত্র ৬ ঘন্টা বেঁচে ছিল তার সন্তান। জন্মানোর পরে বাচ্চা কাঁদে নি। ডাক্তার বলেছিল ফুসফুসে সমস্যা। ৬ ঘন্টা পরে মারা যায় সন্তান 😥 তবুও রক্তদানে থেমে নেই তিনি। রক্তদানের মাধ্যমে পাশে দাঁড়াচ্ছেন অসহায় রোগীর।
আমাদের সকলের মনোভাব এমন হওয়া উচিত। নিজের মত যেন কেউ আক্ষেপ না করে এজন্য অন্যের বিপদে পাশে দাঁড়াতে হবে আমাদের।
আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া।
সকলে তুষার ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ পাক যেন তার এই দানকে কবুল করেন। এবং এই দানের উত্তম প্রতিদান উভয় জাহানে দান করেন। আর তুষার ভাইকে পরবর্তীতে নেক সন্তান দান করে ধন্য করে দেন।
তুষার ভাইয়ের পরবর্তী রক্তদানের সময় হবে ২০-০৫-২৩ তারিখে।