রোযা রেখে রক্তদানে নারীরা পিছিয়ে নেই, তাহলে আপনি কেন পিছিয়ে ?

তানিয়া আপুর বাসা পাবনা জেলায়। পড়ালেখা করেন রাজশাহীতে। আগে কখনও রক্তদান করেন নি তিনি। রিকুয়েস্ট ছিল একজন অপারেশনের রোগীর জন্য বি+ রক্তের। স্বেচ্ছাসেবীগণ যাকেই নক দেয় রমজানের উসিলায় রক্তদান নাকচ করে দেয়। সকলে যখন চিন্তিত এমন পরিস্থিতিতে নিজের ইচ্ছাকে পূরণ অগ্রসর হলেন তিনি। আর সেই ইচ্ছেটা রক্তদানের। গত পরশুদিন রোজারত অবস্থায় রক্তদানের ইচ্ছে প্রকাশ করে এগিয়ে এসেছিলেন তিনি। আর রক্তদানের মাধ্যমে শুধু নিজের ইচ্ছাকেই পূরণ করলেন না তিনি বরং সেই সকল মানুষকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন যারা রমজান মাসকে অজুহাত বানিয়ে পিছিয়ে যাচ্ছেন তাদেরকে। আসলে রোযারত অবস্থায় রক্তদানে কোন সমস্যাই হয় না। আর রোযা রক্তদানের প্রতিবন্ধকতা নয়।

আসুন দানের মাসকে অজুহাতে রুপান্তরিত না করে এই মাসে সর্বশ্রেষ্ঠ দানে এগিয়ে আসি। একজন মানুষের জীবন বাঁচানোর উসিলা হয়ে সমগ্র মানব জাতির জীবন বাঁচানোর সওয়াব হাসিল করাই নয় বরং আল্লাহ/স্রষ্টার নিকট থেকে আনলিমিটেড সওয়াব অর্জন করে নেই। হাদিস দ্বারা এটা প্রমানিত যে, রোযার মাসে সওয়াব আল্লাহ পাক অনেক গুণ বৃদ্ধি করে দেন। তাহলে রক্তদানের মত মহৎ কাজ কিভাবে প্রতিবন্ধকতা হতে পারে ভেবে দেখুন?

তানিয়া আপু যদি রোযা রেখে প্রথমবার রক্তদান করতে পারে তাহলে আপনি কেন নয়?

1 thought on “রোযা রেখে রক্তদানে নারীরা পিছিয়ে নেই, তাহলে আপনি কেন পিছিয়ে ?”

Leave a Comment