১. নিয়মিত ব্লাড ট্রান্সফিউশন অর্থাৎ শরীরে রক্ত দেওয়ার দরকার হয় ( প্রায় ৭০-৭২% থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে) এমন রোগী বা ১ম বার রক্ত নিচ্ছেন এমন রোগীর ক্ষেত্রে ট্রান্সফিউশনের সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী। প্রতিবার রক্ত গ্রহনের আগে অবশ্যই প্রয়োজনীয় সকল রক্ত পরীক্ষা করে নিতে হবে। না হলে শরীরে নেওয়া ঐ রক্তই রোগীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায়, একই ডোনার থেকে একের অধিকবার রক্ত নেওয়ার সময় অনেকেই প্রয়োজনীয় রক্ত পরীক্ষাকে হেয় বা ছোট করে দেখে। অর্থাৎ “আগেও তো রক্ত নিয়েছি কিছুই হয় নি। এখন আবার কি হবে”– এরকম ভেবে থাকেন। মনে রাখতে হবে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে যেকোন মানুষের শরীরে বা রক্তে নতুন এন্টিজেন বা এন্টিবডির আবির্ভাব হতে পারে। যা ঐ মানুষের অসুস্থতায় কোন প্রভাব না ফেললেও, তার রক্ত আপনার শরীরে নেওয়া হলে রক্ত কণিকার গায়ে লেগে থাকা ক্ষুদ্রতর কণিকাগুলোই আপনার জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে পারে । মনে রাখতে হবে, সাধারণ মানুষের থেকে আপনার শরীরে অল্প কিছু হলেও আপেক্ষিকভাবে বৃহত্তর ক্ষতির কারণ হতে পারে। হ্যাঁ এটা অনেক ক্ষেত্রে হয়তো সাথে সাথেই চোখে পড়বে না। তবে পরিণতিতে আপনার জন্য কি অপেক্ষা করছে সেটা হয়তো আপনি ভাবতেও পারেন নি। এই ছোট জিনিসটিই আপনাকে বড় রোগ বা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারে।
২. রক্ত নিজের বা পরিচিত রোগীর শরীরে নেওয়ার সময় সকল টেস্ট করার পরেও কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিত। ব্লাড ট্রান্সফিউশন বা রক্ত নেওয়া শুরু করার প্রথম কিছুক্ষণ লক্ষ্য রাখতে হবে শরীরে কোন পরিবর্তন অনুভূত হচ্ছে কি না৷ যেমন- বুকে ব্যথা বা চাপ ধরে থাকা ,শ্বাসকষ্ট, কাপুনি বা এরকম কোন অসুবিধা মনে হলেই রক্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এবং সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট সেবিকা বা ডাক্তারকে জানাতে হবে।
৩. রক্ত নেওয়ার কিছুক্ষণ পর বা রক্ত নেওয়ার সময়েই চুল্কানি সহ বিভিন্ন ধরনের এলার্জির প্রকট শরীরে দেখা যেতে পারে। এমন হলে প্রাথমিকভাবে ডাক্তার এলার্জির ইনজেকশন দিয়ে দেন রক্ত পরিসঞ্চলরত অবস্থাতেই। এর পরেও এমন সমস্যা হলে এলার্জির ঔষধ খেতে পারেন। তবে চুলকানি বা জটিলতর কোন সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে হবে ।
রক্ত বন্ধন – Rokto Bondhon