আমার পরিচিত রোগী,
আমার আত্মীয়,
এসব কথা পরিহার করুন। রক্তদানের কাজে নিজেকে
‘সবার ‘ এই পরিচয়ে গড়ে তুলুন বা ‘ সবাই আমার ‘ এই মনোভাব নিয়ে কাজ করুন।
রোগীর পেটে বাচ্চা মারা গেছে। অবস্থা গুরুতর। ব্লিডিং হচ্ছে প্রচুর। পেটের সন্তান হারানো মা নিজেও বাঁচবে কি না সেই নিশ্চয়তা দিতে পারছিলো না ডাক্তার।
গতকাল থেকে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত রোগীর অবস্থার এমন পরিস্থিতি ছিল যে ডাক্তার রোগীর দেহে রক্ত পুশ করতে পারছিলেন না। আজ বোর্ড বসিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অপারেশন করে বাচ্চা বের করে ফেলা হবে। ৪ ব্যাগ রক্ত ম্যানেজ করতে বলা হয়েছে। শিহাব ভাইকে গত পরশু রাতেই রোগীর বিষয়ে অবগত করেছিলাম। শিহাব ভাই জানান তিনি রক্তদানে প্রস্তুত। গতকাল রোগীর শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় রক্ত নেওয়া যায় নি। আজ রাতে রক্তের প্রয়োজনের কথা জানালে শিহাব ভাইকে রক্ত প্রয়োজন বলা হলে রক্তদান করতে ব্লাড ব্যাংকে এসে রক্তদান করে রোগীকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়।
বর্তমানে পেটে মারা গেছে বা প্রসবের পরে বাচ্চা মারা গেছে এমন ঘটনা আমাদের চারপাশে অহরহ ঘটে যাচ্ছে। কেন এমনটা হচ্ছে কখনও ভেবেছেন কি? কি কি ভুলের কারণে এমনটা হচ্ছে জানতে ইচ্ছে হয় না আপনাদের? অল্প কিছু কাজ এই মর্মান্তিক ঘটনা থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে। কি কি কাজ? জানতে পারবেন আমাদের ওয়েবসাইটের ব্লগ থেকেই।
প্রতিটি মানুষ সচেতন থাকুক,
রক্তদানের হাত বাড়িয়ে প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে আসুক।
শিহাব ভাইয়ের পরবর্তী রক্তদানের সময় হবে ২৮-১২-২২ তারিখে।