★ ” ভাইয়া ৪ তারিখে আমার ভ্যাক্সিনের ডেট আছে। ১-৩ তারিখের মধ্যে রক্তদান করতে চাই । রোগী খুঁজে দেন।
★ ” কি ব্যাপার ভাইয়া রোগী কমে গেল নাকি ? ও+ রক্তের প্রয়োজন হচ্ছে না কারও? ”
কথাগুলো রক্তদাতা শিশির আহমেদ ভাইয়ের। বেশ কিছুদিন থেকে এভাবেই নক দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
আজ সন্ধ্যায় একটি পোস্ট ও ফোন কলের মাধ্যমে জানতে পারি ক্যান্সার আক্রান্ত ৬ বছর বয়সী শিশু রোগী শাম্মীর জন্য ৩ ব্যাগ O+ রক্ত প্রয়োজন। শিশির ভাইকে তখনই কল দিয়ে অবহিত করি এবং রক্তদানের আহ্বান জানাই । শিশির ভাই আহ্বান সাড়া দিয়ে সাথে সাথে রক্তদান করতে চলে যান এবং রক্তদানের মাধ্যমে রোগীকে কিছুটা সুস্থ ও শান্তিতে থাকতে সহায়তা করেন।
রোগী বাঁচবে নাকি মারা যাবে এটা আমরা কেউ জানি না। তবে এসব রোগীর পাশে শেষ পর্যন্ত থাকতে পারাটা অন্যরকম একটি ভালোলাগা কাজ করায় নিজেদের অন্তরে। রোগী মারা গেলেও নিজেদের ভিতর এই স্বস্তিটুকু কাজ করায় যে, অন্তত আমার বা রক্তদাতার প্রচেষ্টায় রোগীটি শেষ পর্যন্ত হয়তো কিছুটা শান্তি পেয়েছিল।
আর ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে উঠলে কতটা ভালোলাগা ও গর্ব কাজ করে নিজের ভেতর সেটা প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আসুন শিশির ভাইয়ের মত আমরাও নিজে থেকে রক্তদানে আগ্রহ প্রকাশ করি। রক্তদানে সক্ষম হলে, রক্তদানের সময় হয়ে গেলে এবং শারীরিকভাবে সুস্থ্য থাকলে রক্তদান করি। আমার রক্তে এক প্রাণ বাঁচুক বা আমার রক্তে একজন মানুষ সুস্থ্য হয়ে উঠুক এই মনোভাব তৈরি করি নিজের মধ্যে। আর শুধু নিজে রক্তদান করে থেমে না থেকে বন্ধু, পরিচিত এবং রক্তদানে সক্ষম ব্যক্তিদের রক্তদানে উৎসাহিত করি।
বিবেক হোক জাগ্রত,
অগ্রগামী হোক রক্তদাতা।।