এনাল ফিশার বা গেজঃ
এনাল ফিসার পায়ুপথের একটি রোগ। পায়খানা করার সময় খুব বেশি জ্বালাপোড়া হওয়া অথবা ছুরির ধারের মত ব্যথা করা এই রোগের পরিচিত একটি সমস্যা। অনেকের ক্ষেত্রে এই ব্যথা এতই তীব্র হয়, নিয়মিত মলত্যাগ করাই তাদের জন্য অসহনীয় হয়ে দাঁড়ায়। এই লক্ষণগুলোই এনাল ফিসার রোগের লক্ষণ। বাংলায় এটি গেজ রোগ নামে পরিচিত।
পায়ুপথের রোগ বলে অনেকেই এই সমস্যায় দীর্ঘদিন ভুগলেও সহজে ডাক্তার দেখাতে চান না। ফলে দিন দিন গেজ রোগ জটিল আকার ধারণ করে। এক পর্যায়ে অপারেশন ছাড়া এই রোগ প্রতিকারের আর কোন উপায়ই থাকে না। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় রোগীর অবহেলার কারণে ক্ষত থেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গেছে। অথচ প্রাথমিক পর্যায়ে গেজ রোগ সম্পর্কে সচেতন হওয়া গেলে বা চিকিৎসা নেওয়া হলে খুব সহজেই এই জটিল পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব।
পায়ুপথের পেছনের যেই অংশে মল জমা থাকে তার নাম রেক্টাম বা মলাশয়। মলাশয় থেকে মল বা পায়খানা মলদ্বার দিয়ে বের হয়ে আসে। মলদ্বারের মুখের চারপাশে যেই মাংসপেশি থাকে তাতে চাপ প্রয়োগ করে পায়খানার রাস্তার মুখ বন্ধ করা এবং খোলা যায়।
মলত্যাগের সময় খুব জোরে চাপ দিলে বা পায়খানা শক্ত হলে মলদ্বারের মুখের চারপাশের চামড়া অনেকসময় ফেটে বা চিড়ে যায়। মলদ্বারের এই ক্ষতকেই বলা হয় এনাল ফিসার বা গেজ।
এনাল ফিসার বা গেজ রোগ হলে মলত্যাগের সময় এই ফাঁটা বা চিড়ে যাওয়া অংশে প্রচণ্ড জ্বালাপোড়া বা তীক্ষ্ণ ব্যথা অনুভব হয়। সেই সাথে পায়ুপথের মাংসপেশি টানটান হয়ে যায়। মাংসপেশি টানটান হওয়ার কারণে পায়ুপথের মুখটাও সরু হয়ে আসে বা টাইট হয়ে যায়। ফলে ভুক্তভোগীর মলত্যাগ করা ভীষণ কষ্টকর হয়ে পড়ে।
চিড়ে যাওয়া স্থানে রক্ত প্রবাহ কমে গেলে ফাঁটল সারতে দীর্ঘদিন সময় লাগতে পারে। এর ফলে অনেকে দীর্ঘমেয়াদি বা ক্রনিক এনাল ফিসারের সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে ।
এনাল ফিসার ও পাইলস-এর মধ্যে পার্থক্য কিঃ
এনাল ফিসার ও পাইলসের লক্ষণগুলোর মধ্যে কিছুটা মিল থাকলেও এই দুইটি সম্পূর্ণ পৃথক দুটি রোগ। দুটি রোগেই পায়ুপথে চুলকানি হতে পারে এবং পায়খানার সাথে টাটকা লাল বর্ণের রক্ত যেতে পারে। এনাল ফিসারে রক্ত খুব অল্প পরিমাণে যায় কিন্তু পাইলসে পরিমাণ অধিক হয়ে থাকে।
পাইলস এবং এনাল ফিসার এই দুটির মধ্যে মূল পার্থক্য হচ্ছে—
১. পাইলস হলে পায়ুপথে নরম গোটার মত দেখা দেয়। গোটাগুলো সাধারণত মলত্যাগের পরে বের হয়ে আসে। কিছু সময় পরে এগুলো নিজে নিজেই ভেতরে ঢুকে যায় অথবা আঙ্গুল দিয়ে ভেতরে ঢুকাতে হয়। এছাড়া পাইলস হলে পায়ুপথে শ্লেষ্মার মতো দেখতে পিচ্ছিল কিছু পদার্থ বের হতে পারে।
২. এনাল ফিসার বা গেজের ক্ষেত্রে সাধারণত এসব লক্ষণ দেখা যায় না। আর এক্ষেত্রে প্রতিবার মলত্যাগের সময়ই তীব্র ব্যথা হয়। পাইলসে সাধারণত ব্যথা হয় না। তবে রক্তক্ষরণ হয়।
এনাল ফিসারের লক্ষণগুলো কীঃ
১. পায়খানার রাস্তায় তীব্র ও ধারালো ব্যথা হওয়াঃ
এনাল ফিসার বা গেজ রোগের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ পায়খানার রাস্তায় তীব্র ও ধারালো ব্যথা অনুভব হওয়া। অনেক সময় পায়ুপথ দিয়ে ধারালো কাঁচের টুকরো বের হচ্ছে এমনটা মনে হয় আক্রান্ত রোগীর। এনাল ফিসারে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এই ব্যথাটা সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক। সচরাচর পায়খানার পর মলদ্বারের এই জ্বালা কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত থাকতে পারে।
২. পায়খানার সাথে উজ্জ্বল লাল বা টাটকা রক্ত যাওয়াঃ
পায়খানার সাথে উজ্জ্বল লাল রঙের রক্ত যেতে পারে।
পায়খানার গায়ে বা ব্যবহৃত টয়লেট পেপারে তাজা লাল রক্তের ছোপ দেখা যেতে পারে। শুধুমাত্র চামড়ার কিছু অংশ ছিঁড়ে রক্ত যায় বলে এক্ষেত্রে সাধারণত বেশি রক্তক্ষরণ হয় না। যেহেতু পায়ুপথের মুখের কাছাকাছিই এই রক্তক্ষরণ হয়, সেজন্য রক্তের রঙ উজ্জ্বল লাল হয়ে থাকে। আরও ভেতর থেকে রক্তক্ষরণ হলে রক্তের রঙ গাঢ় বা কালচে লাল হতো।
৩. পায়ুপথে চুলকানি হওয়াঃ
এনাল ফিসার রোগে পায়খানার রাস্তার মুখে চুলকানি হতে পারে।
এনাল ফিসার কেন হয়ঃ
এনাল ফিশার বা গেজ রোগের সবচেয়ে কমন কারণ কষা পায়খানা বা কোষ্ঠকাঠিন্য। পায়খানা শক্ত হলে অনেকে টয়লেটে যেতে চায় না। কারণ তখন মলত্যাগ করতে কিছুটা কষ্ট হয়। কিন্তু পেটের ভেতর পায়খানা জমিয়ে রাখলে সেটা দিন দিন আরও শক্ত হতে থাকে। একসময় সেই শক্ত পায়খানা বের করতে গেলে পায়ুপথের চামড়া ছিঁড়ে গিয়ে সৃষ্টি হয় এনাল ফিসার।
গর্ভবতী অবস্থায়, বিশেষ করে শেষ তিন মাসে ও নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে বাচ্চা হওয়ার পরে এনাল ফিসার দেখা দিতে পারে। তবে এক্ষেত্রে গেজ রোগ হওয়ার পদ্ধতি একটু ভিন্ন।
কখনও কখনও ডায়রিয়ার কারণেও গেজ রোগ হতে পারে। আরও কিছু অসুখ বা ঔষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এনাল ফিসার হতে পারে।
যে সকল রোগের কারণে এনাল ফিসার দেখা দিতে পারে—
== পরিপাকতন্ত্রের প্রদাহজনিত রোগ বা ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল ডিজিজ (IBD),
== কোলোরেক্টাল বা পায়ুপথের ক্যান্সার,
== যৌনরোগ। যেমন, এইচআইভি, সিফিলিস ও হার্পিস সিমপ্লেক্স,
== সোরিয়াসিস নামক ত্বকের প্রদাহজনিত রোগ,
== Pruritus ani নামের পায়ুপথের মুখের চুলকানি রোগ
ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস সংঘটিত চর্মরোগ,
যেসকল ঔষুধ সেবন করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে এনাল ফিসার দেখা দিতে পারে—
→ Angina-জাতীয় বুকের ব্যথায় ব্যবহৃত নিকোরান্ডিল
কেমোথেরাপিতে ব্যবহৃত কিছু ঔষুধ,
→ আফিমজাতীয় ব্যথার ঔষুধ (Opioids), যেমন ট্রামাডল, টাপেন্টাডল, মরফিন ও পেথিডিন।
মলদ্বারের ব্যথা কমানোর উপায়ঃ
১. মলত্যাগের পর গরম পানির সেঁক দেওয়াঃ
একটি বোল বা ডিশে কুসুম গরম পানি নিয়ে সেটাতে কিছুক্ষণ বসতে পারেন, যাতে কোমর থেকে মলদ্বার পর্যন্ত পানির নিচে থাকে। কুসুম গরম পানি মলদ্বারের মাংসপেশিকে রিল্যাক্স বা শিথিল করতে সাহায্য করে। এতে করে ব্যথা কমে আসে। এই পদ্ধতিকে ইংরেজিতে সিটজ ব্যাথ (Sitz bath) বলা হয়।
শুধু মলত্যাগ করার পরেই এটি করা যাবে বিষয়টা এমন নয়। দিনে ২ থেকে ৩ বার গরম পানির সেঁক নেওয়া যায়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা এই পদ্ধতি অবলম্বন করেছে এনাল ফিশার বা গেজ রোগে থেকে তারা বেশ স্বস্তি পেয়েছে।
২. প্যারাসিটামল সেবন করাঃ
এনাল ফিসার এর ব্যথা কমানোর ঔষধ হিসেব প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে। প্যারাসিটামল সাধারণত ৫০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট হিসেবে পাওয়া যায়। ব্যথা হলে ২টি ট্যাবলেট, অর্থাৎ, ১০০০ মিলিগ্রাম প্যারাসিটামল একেবারে সেবন করতে পারেন। এভাবে ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা পরপর ঔষধ খাওয়া যায়। তবে অবশ্যই ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হয়ে বা পরামর্শ নিয়ে সেবন করতে হবে।
দিনে যেন ৮টা ট্যাবলেট, অর্থাৎ, ঔষধের পরিমাণ ৪০০০ মিলিগ্রামের বেশি না হয় সেই বিষয়ে বিশেষ সতর্ক হতে হবে। উল্লেখ্য, এই হিসাবটি সুস্থ, প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য, যার ওজন ৫০ কেজির বেশি। আপনার শারীরিক অবস্থা এমনটা না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্যারাসিটামলের সঠিক ডোজ জেনে নিতে হবে।
প্রয়োজনে ব্যথার জন্য আইবুপ্রোফেন খাওয়া যায়। তবে রক্তক্ষরণ হলে আইবুপ্রফেন এড়িয়ে চলাই উত্তম। কারণ এই ঔষধ রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়ায়।
ট্রামাডল ও টাপেন্টাডল জাতীয় ব্যথানাশক এড়িয়ে চলতে হবে। ট্রামাডল-টাপেন্টাডল সেবন করলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে এ জাতীয় ব্যথানাশক সেবনে এই সমস্যা গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে৷
৩. মলদ্বারের মুখে পেট্রোলিয়াম জেল-জাতীয় পিচ্ছিল করার পদার্থ প্রয়োগঃ
পেট্রোলিয়াম জেল বা অন্যান্য পিচ্ছিলকারী পদার্থ মলদ্বারের মুখে ব্যবহার করা যাবে। এতে মলত্যাগের সময় ছেঁড়া জায়গায় ঘর্ষণের মাধ্যমে ব্যথা অনুভব হওয়ার তীব্রতা কমবে। ডাক্তার পায়খানার রাস্তা নরম রাখতে কিছু মলম ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এসব মলম ব্যবহার করা পেট্রোলিয়াম জেল ব্যবহার করা থেকেও উত্তম।
৪. মলত্যাগের সময় জোরে চাপ দেয়া থেকে বিরত থাকাঃ
পায়খানা করার সময় জোরে চাপাচাপি করলে গেজ রোগের জায়গাটি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তীব্র ব্যথা হতে পারে। পায়খানা করার সময় জোর প্রয়োগ করা উচিত নয়।
গেজ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসাঃ
কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললে এনাল ফিসার প্রতিরোধ করা সম্ভব। এগুলো হলো—
১. পায়খানার বেগ আসলে তা আটকে রাখা যাবে না। এতে পায়খানা শক্ত হয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। পরবর্তীতে চাপ দিয়ে পায়খানা করতে গেলে সেখান থেকে এনাল ফিসার সৃষ্টি হতে পারে। পায়খানা খুব শক্ত হলে এনাল ফিসার সারতেও অনেক দেরি হয়। তাই পায়খানার চাপ আসলে দেরি না করে টয়লেট করে নিতে হবে।
তবে এনাল ফিসারের রোগীদের জন্য পায়খানা করার সময় প্রচণ্ড ব্যথাটাই সবচেয়ে কষ্টদায়ক। তাই যথাসময়ে মলত্যাগ করার উপদেশ দেওয়া হলেও তা মেনে চলা রোগীর জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। এজন্য পায়খানা নরম রাখতে হবে, এবং উপরের ব্যথা কমানোর উপদেশগুলো মেনে চলতে হবে।
২. এনাল ফিসার প্রতিরোধে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার বিকল্প কোন কিছুই নেই৷ এজন্য কিছু বিষয় মেনে চলা জরুরি। যেমন—
★ পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ আছে এমন খাবার খেতে হবে। যেমন – ছোলা বা কাঁচা বুট, সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, ডাল, লাল আটা, লাল চাল, দুধ ইত্যাদি। কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে ডাক্তার দৈনিক প্রায় ৩০ গ্রাম ফাইবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে খাবারের তালিকায় ফাইবারের পরিমাণ একেবারে হুট করে না বাড়িয়ে ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে।
★ পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। বেশি বেশি ফাইবার এর সাথে পরিমাণ মত পানি না খেলে নানা স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
★ কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিলে ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন।
★ নিয়মিত শরীরচর্চা বা হালকা ব্যায়াম করতে পারেন।
৩. পায়ুপথ সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও শুকনো রাখতে হবে। মলত্যাগের পর টিস্যু বা এজাতীয় কিছু দিয়ে জোরে ঘষাঘষি না করে আলতোভাবে জায়গাটি পরিষ্কার করে নিতে হবে। এর ফলে গেজ রোগ হলেও তা দ্রুত সেরে উঠবে। এবং ইনফেকশন বা পুঁজ জমে ঘা হওয়ার মত জটিলতা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেনঃ
যদি মনে হয় পায়ুপথে কোন ফাটল রয়েছে বা গেজ রোগের কোন লক্ষণ রয়েছে, তাহলে দেরি না করে অতি দ্রুত ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হতে হবে। অনেকে কবিরাজি বা ভেষজ ওষুধ কিংবা এনাল ফিসার এর জন্য হোমিও চিকিৎসা নিয়ে রোগটি সারানোর চেষ্টা করতে করতে অনেক দেরি করে ফেলেন। ফলে রোগটি আরও জটিল আকার ধারণ করে। পরবর্তীতে অপারেশন ব্যতীত আর কোন পথ খোলা থাকে না। তাই অন্য চিকিৎসায় সময় ও অর্থ নষ্ট করে নিজের ক্ষতি না করে মেডিসিন বা সার্জনের স্মরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।
বিব্রত বা সংকোচবোধের কারণে ডাক্তার দেখানো থেকে বিরত থাকবেন না। এনাল ফিসার একটি কমন সমস্যা। যে কোন ব্যক্তি আক্রান্ত হতে পারে এই রোগে। ডাক্তারগণ প্রতিনিয়তই এই রোগে আক্রান্ত এমন অসংখ্য রোগীর চিকিৎসা করে থাকেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এনাল ফিসার চিকিৎসা ছাড়াই ভালো হয়ে যায়। তবে ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি একই ধরনের উপসর্গযুক্ত অন্য কোন সমস্যা (যেমন: পাইলস) আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পারবেন। এছাড়াও যেসব নিয়ম মেনে চললে আপনার এনাল ফিসারের লক্ষণগুলো উপশম হবে এবং পুনরায় গেজ রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে, সেসকল বিষয়েও তিনি পরামর্শ দিবেন।