‘ আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া। রোযার আগে রক্তদান করতে চাই। কারও রক্তের প্রয়োজন হলে নক দিয়েন। ‘
উপরের উক্তিটি বি নেগেটিভ রক্তদাতা নাহিদ ভাইয়ের।
দুইদিন আগে ম্যাসেঞ্জারে নক দিয়ে এভাবেই রক্তদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। আশ্বস্ত করেছিলাম রোযার আগেই রোগী ম্যানেজ করে দিব ইনশা আল্লাহ।
আজ সন্ধ্যায় ছোট ভাই ও স্বেচ্ছাসেবী মোঃ গোলাম রাব্বানী ভাই জানান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক্সিডেন্টের রোগীর অপারেশনের জন্য দুর্লভ বি নেগেটিভ রক্ত প্রয়োজন। কখন রক্ত লাগবে জানতে চাইলে রাত ৮ টার দিকে অপারেশন এই তথ্যটি জানান তিনি।
অত:পর রক্তদাতা নাহিদ ভাইকে নক দিয়ে রোগীর বিষয়ে অবগত করি এবং আজ রক্তদান করতে পারবে কি না জানতে চাই। নাহিদ ভাই সাথে সাথে জানান তিনি রক্তদানে প্রস্তুত এবং কখন আসতে হবে সেটি জানতে চায়।
তাকে রক্তদানের সময় এবং স্থান সম্পর্কে অবগত করা হলে নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত হয়ে রক্তদানের মাধ্যমে রোগীটিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন।
আজ একটি বিষয় খুব ভালো লেগেছে, সেটি হচ্ছে রোগীর স্বজনদের আন্তরিকতা। নাহিদ ভাইকে নিয়ে ব্লাড ব্যাংক থেকে বাহিরে এসে দেখি রোগীর বাবা রক্তদাতার জন্য কিছু ফলমূল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। যদিও তারা আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান নয়, কিন্তু মানবিক দিক থেকে তারা অনেক আন্তরিক এটা প্রমাণ করে দিলেন আজকে।
রোগীর পরিবারের সদস্যগণ যদি প্রতিটি রক্তদাতার সাথে আন্তরিকতা প্রদর্শন করে তাহলে কোন রক্তদাতাই রক্তদানে নিরুৎসাহিত হবে না বা আগ্রহ হারাবে না। আপ্যায়ন নয়, ব্যবহারের আন্তরিকতাই আমাদের এবং রক্তদাতার কাছে সম্মানের।
আসুন আওয়াজ তুলি একটি উক্তি,
রক্তদানে সচেতন হোক সক্ষম প্রতিটি ব্যক্তি।