একটি লাল রঙের ব্যাগে অনেকেই দেখেন রক্ত।
আর আমি দেখি একটি প্রাণ সুস্থ্য হওয়ার শেষ আশা।
আর দেখি পরিবারের একটি মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার বড় একটি স্বপ্ন।
বাগমারায় এক্সিডেন্ট করেছে রোগী। পা ক্ষত বিক্ষত হয়ে গেছে৷ প্রথম যখন এক্সিডেন্ট করে ৪ ব্যাগ রক্ত প্রয়োজন হয়েছিল। প্লাস্টিক সার্জারি করে পায়ে যে চামড়া লাগানো হয়েছিল সেগুলো পচে গেছে এখন৷ আবার বাগমারা থেকে রাজশাহীতে নিয়ে আসা হয়েছে রোগীকে।
রোগীর বর্তমান পরিস্থিতি দেখে ডাক্তার আবারও ৪ ব্যাগ রক্ত প্রয়োজন বলে জানান। দুর্লভ গ্রুপের রক্ত হওয়ায় গত৫ দিন চেষ্টার করেও রক্তদাতা খুঁজে পাচ্ছে না রোগীর লোক। গত পরশু এক প্রাইভেট ব্লাড ব্যাংক থেকে দুই ব্যাগ এক্সচেঞ্জ রক্তদানের বিনিময়ে এক ব্যাগ O Negetive রক্ত নিয়েছিল রোগীর পরিবার। এরপর অনেক চেষ্টা করেও আর রক্তদাতা পায় নি। বিষয়টি রাজশাহীর স্বেচ্ছাসেবী Redoy Hosen Aahad ভাইকে অবহিত করেন আরেকজন ব্যক্তি। হৃদয় ভাই যোগাযোগ করেন আমাদের সাথে। রক্ত বন্ধন – Rokto Bondhon পরিবারের মডারেটর পিয়াস ভাগিনাকে রোগীর বিষয়ে অবগত করে রক্তদানের আহ্বান জানানো হলে আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসেন তিনি।
প্রাইভেট পড়াতে যাবেন তাই সন্ধ্যায় রক্তদান করতে আসতে পারবেন না। সাড়ে ৮ টায় রক্তদান করতে পারবে বলে জানান তিনি৷ রোগীর পরিবারকে বিষয়টি জানানো হলে তারা জানান কোন সমস্যা নেই। রাতে রক্ত নিতে পারবেন বলে জানান তারা।
অত:পর নির্ধারিত সময়ে রাজশাহী ব্লাড ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে রক্তদানের মাধ্যমে রোগীকে সহায়তা করেন তিনি।
আসুন মানব সেবা এগিয়ে আসি সকলে। রক্তদানের মাধ্যমে একটি প্রাণ বাঁচানোর উসিলা হয়ে হাসি ফুটাই রোগী ও রোগীর পরিবারের মুখে।
সকলে পিয়াস মামার জন্য দোয়া করবেন, আল্লাহ পাক যেন তাকে এই দানের উত্তম প্রতিদান উভয় জাহানে দান করেন।
পিয়াস মামার পরবর্তী রক্তদানের সময় হবে ২৫-০৫-২৩ তারিখে।